সংক্ষিপ্ত
- এখন তিরিশের কোঠায় পড়লেই উচ্চরক্তচাপ
- আগে যা ভাবাই যেত না
- এই সমস্য়ার হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত ৮ঘণ্টা ঘুমোন
- অফিস থেকে বাড়িতে ফিরে পরিবারে সঙ্গে ফুরফুরে মেজাজে কাটান
এখন তিরিশের কোঠাতেও দেখা যায় উচ্চ রক্তচাপ। আগে যা ভাবাই যেত না। পাল্টে যাওয়া জীবনযাত্রা, অত্য়ধিক স্ট্রেসের মতো নানা কারণে এখন বলতে গেলে ঘরে ঘরে লোকজনের উচ্চ রক্তচাপ। তাই একে জেনে নিন, কীভাবে একে মোকাবিলা করবেন।
ডাক্তার আপনাকে যদি কোনও ওষুধ দেয়, তাহলে তা নিয়ম করে খাবেন। হুট করে যেন ভুলেও বন্ধ করে দেবেন না। আর নিয়মিত প্রেসার মাপাবেন। যদি ওষুধের ডোজ কমানোর হয় বা বন্ধ করে দেওয়ার হয়, তাহলে তা আপনার চিকিৎসকের ওপরই ছেড়ে দিন।
প্রতিদিন যাতে আটঘণ্টা নিয়মিত ঘুম হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। জানবেন, দিনে কমপক্ষে আটঘণ্টা ঘুম খুব জরুরি। যদি ঘুম না-হয় তাহলে মনোবিদের পরামর্শ নিন। এই সময়টুকু ঘুমোতে না-পারলে শুধু রক্তচাপই বাড়বে তা নয়। সেই সঙ্গে শরীর ও মনে অনেক সমস্য়া দেখা দেবে।
অফিসের কারণে যদি একান্তই রাত জাগতে হয় তো অন্য় কথা। নইলে একদম রাত জাগবেন না। অনেকে বেশি রাত অবধি কাজ করে বেলা দুপুর অবধি পড়ে পড়ে ঘুমোয়। এই কাজ এখনই বন্ধ করা উচিত। কারণ, রাতে ঘুমনোর সময়ে শরীরের ভাল হরমোন বা গুড হরমোনগুলোর ক্ষরণ হয়। যা দিনে হয় না।
মনে রাখবেন, অফিসে প্রত্য়েকেরই চাপ রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে অনেক দুর্ব্য়বহার বা অপমান। কিন্তু বাড়িতে এসে ভুলেও এ নিয়ে ভাবতে বসবেন না। চাইলে সব কথা কাছের মানুষকে খুলে বলুন। তারপর একসঙ্গে সবাই মিলে গল্প করতে করতে থাকুন। চাইলে টিভিতে কোনও ভাল অনুষ্ঠান দেখুন। স্মার্ট ফোন না-ঘেঁটে পছন্দের ম্য়াগাজিন বা বই পড়ুন। দেখবেন অনেক হাল্কা থাকবেন। আর জেনে রাখবেন, উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে মনের দিক থেকে হাল্কা থাকা কিন্তু খুব জরুরি।
খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর রাখবেন। বেশি তেল-ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার খাবেন না। শাকসবজি খান যতটা সম্ভব। দিনে অন্তত একটা করে ফল খান। ফলের মধ্য়ে বেশি বাছাবাছির দরকার নেই। মরশুমি ফল যা সস্তায় পাবেন তাই খান। সুগার না-থাকলে কলা খান নিয়ম করে। সুগার থাকলে শশা খেতে পারেন। তবে নুন না-দিয়ে খাবার অভ্য়েস করুন। দেখবেন,কচিশশা নুন ছাড়াই ভাল লাগবে। তবে আবারও বলছি, সুগারের সমস্য়া না-থাকলে অবশ্য়ই কলা খান। কারণ কলায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য় করে। চাইলে তরমুজও খেতে পারেন গরমকালে।
মুড়ি খেলে দোকানদারকে বলুন, নুন ছাড়া যে মুড়ি ভাজা হয়েছে সেই মুড়ি দিতে। পাতে কাঁচা নুন একদম খাবেন না। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। যেভাবেই হোক না কেন। নইলে উচ্চরক্তচাপ কমবে না। এরজন্য় প্রয়োজন হলে মনোবিদের কাছে যান।