সংক্ষিপ্ত
- লো ব্য়াক পেন হল কোমরে ব্য়থার সমস্য়া
- দীর্ঘক্ষণ একটানা ঝুঁকে কাজ করলে এই ব্য়থা হয়
- বাতানুকূল অফিসে কম্পিউটারের বসাও এর কারণ
- যে কোনওরকম পেটের সমস্য়া থেকেও হতে পারে কোমরে ব্য়থা
লো ব্য়াক পেন বা কোমরের ব্য়থায় এখন অনেককেই ভুগতে হয়। এই সমস্য়া বেশ বিরক্তিকর। অনেকেই জানতে চান, কেন হয় এই ব্য়থা। আর কী করেই-বা এর হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। লো ব্য়াক পেনের কারণ অনেক। তবে তার মধ্য়ে অন্য়তম হল, ক্রমাগত একনাগাড়ে ঝুঁকে অফিসে বসে টেবিল চেয়ারে কাজ করা। বাতানুকূল ঘরে অকেকক্ষণ বসে কম্পিউটারে কাজ করলে হতে পারে লো ব্য়াক পেন। স্লিপড ডিস্ক ও কোমরের লিগামেন্টে টান ধরলে সঠিক চিকিৎসার অভাবে হতে পারে লো ব্য়াক পেন।
পেটের কোনও অঙ্গপ্রত্য়ঙ্গের অপারেশনের পর, বিশেষ করে জরায়ু অ্য়াপেনডিক্স কিডনি ইত্য়াদি অপারেশনের পর ক্রনিক পেন দেখা দিতে পারে। কোমরে প্রদাহজনিত কোনও রোগ, বিশেষ করে টিউবারকিউলোসিস, অ্য়াঙ্কাইলোজিং স্পন্ডোলাইটিস, রিউমাটয়েড স্পন্ডিলাইটিস থেকেও দেখা দিতে পারে এই সমস্য়া। জন্মগত বিকৃতি যেমন স্পাইনা বাইফিডা, স্য়াক্রালাইজেশন, স্কোলিয়োসিসের জন্য় হতে পারে লো ব্য়াক পেন। কোনও বিশেষ ধরনের ব্য়াধি কোমরে না-থাকলেও মানসিক রোগ থেকেও হতে পারে লো ব্য়াক পেন।
কোমরের মাংসপেশী দুর্বল হলে মেরুদণ্ডের শক্তি কমে যায়। যার ফলে ব্য়থার সঞ্চার হতে পারে। অনেক্ষণ বসে সামনে ঝুঁকে পুজো করলে অথবা নামাজ পড়লে কোমরে ব্য়থা হতে পারে। আর সেই ব্য়থা অনেকদিন থাকতে পারে।
যদি এই রোগ দেখা দেয় তাহলে কী করা উচিত।
ডাক্তারবাবুকে দেখিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। তাঁর পরামর্শমতো কোমরে ট্র্য়াকশন নিতে হবে, প্রয়োজনে কোমরে বেল্ট বাঁধতে হবে। সামনে ঝুঁকে কাজ করা যাবে না। নরম গদির বিছানা বাদ দিয়ে, প্লাইউড বা হার্ড ম্য়াট্রেসে অল্প তোষক বিছিয়ে শুতে হবে। কোমরে গরম সেঁক নিলে অনেকের আরাম হয। সেক্ষেত্রে হট ওয়াটার ব্যাগ প্রয়োজনে ফিজিয়োথেরাপি করালে উপকার পাওযা য়ায। ভুজঙ্গাসন ও শলভাসনের মতো ব্যায়াম করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযাযী। লাগাতার কোমরে ব্যথার অন্যতম কারণ হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য, কোলাইটিস, আমশয়, অজীর্ণ। তাই খাওযাদাওযার দিকে নজর রাখতে হবে। বেশি পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে কারণ এগুলি প্রাকৃতিক পার্গেটিভের কাজ করে। প্রযোজনে গরম জলের সঙ্গে ইসবগুল ভিজিযে খেতে পারেন। অনেকের আবার রাতে শোওয়ার আগে গরম দুধ খেলে পেট পরিষ্কার হয। এসবেও না-হলে ল্যাকজেটিভ পারগেটিভ নিতে হবে। আমাশয় বা কোলাইটিস হলে টিনিডাজল, মেট্রোজিল খেলে কাজ হবে। ঘি, মাখন, মাছ-মাংস, ভাজাভুজি বেশি খাবেন না। হাত ভাল করে ধুযে রান্না করতে হবে ও খেতে হবে। জলের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রয়োজনে মিনারেল ওয়াটার বা ফিল্টার করা জল খেতে হবে যাতে আমাশা না হয়।