সংক্ষিপ্ত

  • কত চিন্তা মাথায় গজিয়ে উঠতে থাকে
  • যদি দূরে গেলে সম্পর্কটাই না থাকে
  • যদি তৃতীয় ব্যক্তি ঢুকে পড়ে, আরও কত কী! কিন্তু সত্যিই কি এত জটিল

প্রেমের সম্পর্কে মনের মানুষকে চোখের সামনে দেখতে কার নাম ভাল লাগে। কিন্তু সব সময়ে কি মনের মতোই সব কিছু হয়। কারণ কাজ বা কেরিয়ারের সঙ্গে আপোশ করা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুল হয়। তাই ভাল কাজের সুযোগ আসলে মনটাকে শহরে রেখেই অন্য শহরে চলে যেতে হয়। বুঝতেই পারছেন, লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপের কথা বলা হচ্ছে।

প্রেমের প্রথম দিন থেকে সম্পর্কে ভৌগোলিক দূরত্ব থাকলে তেমন সমস্যা হয় না। যেমন ধরুন প্রথম থেকেই আপনি কলকাতা, আর তিনি মুম্বই। কিন্তু ধরুন যদি প্রথম থেকেই খুবই ঘনিষ্ঠ প্রেম, রোজ একবার করে দেখা, দুবেলা নিয়ম করে ফোনে কথা বলা, এ সবের মাঝে যদি অন্য শহর থেকে ভাল কাজের সুযোগ আসে তখনই যেন কপালে ভাঁজ পড়ে। কাজের সুযোগের আনন্দে মাতবেন নাকি সঙ্গীর থেকে দূরে যেতে গিয়ে মন ভার করবেন, এ ভাবতে গিয়েই সব আরও ঘেঁটে যায়।

সম্পর্ক আর টিকবে না! এই লক্ষণগুলি দেখে এখনই প্রেম বাঁচান

আরও কত চিন্তা মাথায় গজিয়ে উঠতে থাকে। যদি দূরে গেলে সম্পর্কটাই না থাকে। যদি তৃতীয় ব্যক্তি ঢুকে পড়ে, আরও কত কী! কিন্তু সত্যিই কি এত জটিল। নিজেদের মধ্যে ভাল বন্ধুত্ব ও বিশ্বাস থাকলে যে কোনও সম্পর্ককে  সুস্থ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তবে জেনে নেওয়া যাক লং ডিসট্যান্স সম্পর্কের ক্ষেত্রে কী কী জিনিস মাথায় রাখবেন-

১) অনেকে মনে করেন দেখা হচ্ছে না, অতএব সারাদিন ফোনে কথা বলে যেতে হবে। প্রথম প্রথন এটা ভাল লাগলেও  পরে ভাল লাগবে না। তাই স্বাভাবিক সময়ে ফোনে কথা বলুন। মনে রাখবেন বাইরে গিয়েছেন কাজের জন্য। 

২) প্রযুক্তির যুগ। তাই মাঝে মাঝেই সঙ্গীকে ভিডিও কল করুন। তবে সেটাকে অভ্যেস বানিয়ে ফেলবেন না। সারপ্রাইজ দিতে হঠাৎ ভিডিও কল করুন। কিন্তু সঙ্গী ব্যস্ত কি না সেটা জেনে তার পরে করুন। 

৩) নতুন শহরে গিয়ে নতুন বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও গেলে তা নিয়ে ঝগড়া করবেন না। কারণ একটা শহরে থাকতে গেলে বন্ধু প্রয়োজন হবেই।

৪) সঙ্গীকে মিস করলে তাঁকে নিজে হাতে বানানো কোনও কার্ড পাঠান। চিঠি লিখেও পাঠাতে পারেন। তেমন অসুবিধা থাকলে মেলে চিঠি লিখুন সঙ্গীকে। 

৫) সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠ হওয়া এই লং ডিসট্যান্স সম্পর্কে সম্ভব নয়। তাই নিজেকে বোঝান, অপেক্ষা করুন। নিজেদের মধ্যের রঙ্গ রসিকতা জারি রাখুন।