সংক্ষিপ্ত
- শহর কলকাতায়, তাপমাত্রার পারদ আরও ২ ডিগ্রি নেমেছে
- ভোরের দিকটায় শীতের আমেজটা বেশ ভালই টের পাচ্ছে শহরবাসী
- আর শীত আসা মানেই ঘুম থেকে উঠতে ভারী কষ্ট আম-বাঙালির
- ব্রহ্ম মূহুর্তে ঘুম ভাঙলে সূর্য ও মানবদেহের তরঙ্গ মিলে যেতে পারে
শহর কলকাতায়, গত দুদিনের তুলনায় তাপমাত্রার পারদ আরও ২ ডিগ্রি নেমেছে । রাতের দিকটায় ঠান্ডার আমেজটা বেশ ভালই টের পাচ্ছে শহরবাসী। শীত আসবে করে সম্প্রতি যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, তা ক্রমশই সত্য়ি হতে চলেছে। আর শীত আসা মানেই ঘুম থেকে উঠতে ভারী কষ্ট আম-বাঙালির।
প্রাচীনকালে মুনি ঋষিদের ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যেস ছিল। ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও দেরিতে ঘুম ভাঙার সমস্যার একটি সমাধানের কথা বলা হয়েছে | সূর্যাস্তের ৪৫ মিনিট আগে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা। এই সময়টিকে বলা হয় ব্রহ্ম মূহুর্ত | ব্রহ্ম মূহুর্তে নিয়মিত ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে পারা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের মতে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল | এই সময়ে ঘুম থেকে উঠতে পারলে সূর্য তরঙ্গ ও মানবদেহের তরঙ্গ মিলে যেতে পারে | এই জন্য সারাদিনই শারীরিকভাবে ফ্রেশ থাকা যাবে| তাহলে জেনে নিন ঠিক কী ভাবে শীতের সকালে খুব সহজেই ঘুম থেকে ওঠা যাবে-
রাতের খাবার হাল্কা হলে তা হজম হতে সুবিধা হয় | তাই সকালে ঘুম থেকেও উঠতে ইচ্ছে করে না | রাতের খাবার যত হাল্কা হবে শরীর তত হাল্কা বোধ হবে এবং বিছানা ছেড়ে উঠতে সুবিধা হবে | ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবশ্য়ই এক গ্লাস জল খান। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও অন্তত এক গ্লাস জল খেলে উপকার হবে | তাই সকাল সকাল আপনার বাথরুমে যাওয়ার দরকার হবে | এরই সঙ্গে ঘুমও হয়ে যাবে হাওয়া | কিন্তু তাই বলে ঘুমোনোর আগে অতিরিক্ত জল কখনই খাওয়া উচিত্ নয় | বিশেষত ডায়বেটিক রুগী হলে বেশি জল খেয়ে ঘুমোতে যাবেন না। অপরদিকে আমরা অনেকেই অ্যালার্ম সেট করে শুলেও, হাতের কাছে থাকা অ্যালার্ম বাজলেই তা বন্ধ করে দিই। তারপর যথারীতি আবার ঘুমিয়ে পড়ি। তাই অ্যালার্ম দেওয়া ঘড়ি বা ফোনটিকে আপনার থেকে খানিকটা দূরে রাখা যায়, তাহলে অ্যালার্ম বন্ধ করতে তো বিছানা ছেড়ে উঠতেই হবে। ভোরের আলো আপনাকে জানাবে সুপ্রভাত।