সংক্ষিপ্ত

  • দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্ধ্যাত্বের মত সমস্যা
  •  চিকিৎসকের কাছে দম্পতির সংখ্যা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে
  • ন্ধ্য়াত্বের কারনে মেয়েদের পাশাপাশি সমান ভাবে পুরুষরাও এই সমস্যার শিকার
  • ব্যায়বহুল চিকিৎসায় না গিয়ে ঘরোয়া পথ্যতেই বেছে নিন এই সমস্যার সমাধান

কর্মব্যস্ত জীবন, বা অত্যাধুনিক জীবনযাপন ব্যবস্থায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্বাস্থ্য। তেমনই দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্ধ্যাত্বের মত সমস্যা। সন্তান ধারণের জন্য চিকিৎসকের কাছে দম্পতির সংখ্যা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষণা অনুযায়ী দেশের প্রায় শতকরা ১৫-১৮ শতাংশ দম্পতি বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন। দৈনন্দিন কর্মব্যস্ত জীবনযাত্রা, দূষণ, মানসিক অবসাদ ও বেশি বয়সে বিয়ে এই সমস্যার জন্য দায়ী। বন্ধ্যাত্বের কারনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েদের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। তবে গবেষণার দেখা গিয়েছে, বন্ধ্য়াত্বের কারনে মেয়েদের পাশাপাশি সমান ভাবে পুরুষরাও এই সমস্যার শিকার।

আরও পড়ুন- গুগল প্লে স্টোরে এবার হাজির 'আধার অ্যাপ', জেনে নিন সুবিধাগুলি

বন্ধ্যাত্বের সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বহু দম্পতি ব্যয়বহুল চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য চিকিৎসকের দ্বারস্থ হচ্ছেন। আধুনিক বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে খুব সহজেই চিকিৎসার সাহায্যে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। তবে প্রথমেই ব্যায়বহুল চিকিৎসায় না গিয়ে ঘরোয়া পথ্যতেই বেছে নিন এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার প্রাথমিক প্রতিকার। এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য শুরু করুন ঘরোয়া প্রতিকার। জেনে নিন এই উপায়গুলি।

আরও পড়ুন- শ্লেষ্মাজনিত সমস্যা দূরে রাখতে, ভরসা রাখুন এই ঘরোয়া পথ্যে

বন্ধ্যাত্ব কাটানোর জন্য প্রথমেই সুস্থ রাখা প্রয়োজন জননগ্রন্থিগুলো। এর জন্য পাতে রাখা প্রয়োজন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। চেরি, পেয়ারা, কমলা লেবু, টমেটো, ব্লুবেরি, লাল ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ এগুলি  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। এই খাবারগুলি গর্ভধারণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি এই খাবারগুলি স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। এই ধরনের খাবার অবশ্যই পাতে রাখুন।

আরও পড়ুন- সর্ষের তেলেই রয়েছে সৌন্দর্যের চাবিকাঠি, ট্রাই করুন এই সহজ টিপসগুলি

বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে উঠতে সকালের জল খাবার সারাদিনের খাবারের তুলনায় ভারি করুন। এটি শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি প্রসেসড ফুডকে সারাসরি না বলুন। এই ধরণের খাবার বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে বাধার সৃষ্টি করে। এরসঙ্গে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারের পরিমান কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে মাল্টিভিটামিন খাওয়া শুরু করুন। মাল্টি ভিটামিন বন্ধ্যাজনিত সমস্যা কাটাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি যদি কোনও নেশা বা আসক্তি থেকে থাকে তবে তা বর্জন করুন। অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও ধূমপানের নেশা বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী। 

সারাদিন বসে কাজ বা দৈহিক পরিশ্রম কম হলে শরীরে দ্রুত ফ্যাট জমতে থাকে। যা বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী। তাই শরীরের ফ্যাট কমাতে শরীরচর্চা শুরু করুন। সেই সঙ্গে আয়রণ সমৃদ্ধ খাবার খান প্রচুর পরিমানে। এর পাশাপাশি পাতে অবশ্যই রাখুন কলা, ডিম, আমন্ড বাদাম, স্যামন মাছ, মটরশুঁটি এই ধরনের খাবারগুলি।