সংক্ষিপ্ত
- প্রাচীনকালে গ্রাম বাংলার মানুষ ঢেঁকি ছাঁটা চাল খাওয়ায় অভ্যস্ত ছিলেন
- বর্তমানে উন্নত সমাজ সেই চালেরই নামকরণ করেছে ব্রাউন রাইস
- এই চালের উপরিভাগে ধানের তুষের কিছু অংশ থেকে যায়
- এই চাল পালিশ করা হয় না তাই দেখতে খানিকটা লালচে ধরনের হয়
প্রাচীনকালে গ্রাম বাংলার মানুষ ঢেঁকি ছাঁটা চাল খাওয়ায় অভ্যস্ত ছিলেন। বর্তমানে উন্নত সমাজ সেই চালেরই নামকরণ করেছে ব্রাউন রাইস। এই চালের উপরিভাগে ধানের তুষের কিছু অংশ থেকে যায়। কারণ এই চাল পালিশ করা হয় না। তাই দেখতে খানিকটা লালচে ধরনের হয়ে থাকে। আর পালিশ করা হয় না বলে সাধারণ চালের তুলনায় এর পুষ্টিগুণ কয়েকগুণ বেশি। অনেকের ধারণা ভাত খেলে মেদ বৃদ্ধি হয়, ঘুম পায়। তবে ব্রাউন রাইস বা ঢেঁকি ছাঁটা চালের বিষয়ে এই ধারণাগুলিকে ভ্রান্ত বলেই মনে করেছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন- পিঠ ও ঘাড়ের ব্যথায় ভুগছেন, ওষুধ ছাড়াই দূরে রাখুন এই সমস্যা
পুষ্টিবিদদের মতে, ব্রাউন রাইসে রয়েছে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা-সহ নানান পুষ্টিগুণ। তাঁদের মতে, সাধারণ চালের চেয়ে ব্রাউন রাইসে ফাইবারের মাত্রা বেশি। ফলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে আর ঘন ঘন ক্ষিদে পাওয়ার প্রবণতা কমায়। পাশাপাশি এনার্জি সরবারহ করে অনেকটা সময় অবধি। সাধারণ চালের মত ব্রাউন রাইস খাওয়ার প্রবণতা মানুষের মধ্যে অত্যন্ত কম। কিন্তু জানেন কি, ব্রাউন রাইসে থাকা ফাইবার ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আবার রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে ব্রাউন রাইস।
আরও পড়ুন- ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক কোয়া রসুন, কাজ করবে ম্যাজিকের মতন
ব্রাউন রাইসে রয়েছে যথেষ্ট পরিমানে নিউরোট্রান্সমিটার নিউট্রিয়েন্ট যা অ্যালজাইমার্স রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। পাশাপাশি স্নায়ুবিক রোগ প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছারা এই চালে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি এবং ই। এছাড়া রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, প্রোটিন, পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মত পুষ্টিগুণ। তবে সাধারণ চাল ও এই চালের মধ্যে স্বাদের পার্থক্য রয়েছে। তাই এই চাল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা একটু সমস্যার। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই চাল রাখলে আপনিও হতে পারবেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।