সংক্ষিপ্ত
- আপনার শিশুকে ভালোবাসতে শেখান
- সন্তানের সেরা কাজে অনেক প্রশংসা করুন
- পুজোর পরের পরীক্ষা নিয়ে ভয় দেখাবেন না
- নিজেরাও অকারণে উদ্বিগ্ন হবেন না
কালীপুজোর আনন্দে ইতিমধ্য়েই সবাই মেতে উঠেছে। আর এই ভরা পুজোর মধ্য়েও অনেক বাচ্চার মন খারাপ থাকে। অভিভাবকরা প্রায়শই তাদের সন্তানদের খুশী করতে দীপাবলির নানা উপহার কিনে দেন। কিন্তু তারপরেও কিন্তু আদৌ সমস্য়ার সমাধান হয়না। তাহলে যত্নের সঙ্গে আপনার বাচ্চার মনের গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করুন। আসলে ,এই পরিস্থিতিতে সামাজিক মেলামেশায় অস্বস্তিতে পড়ে শিশুরা। তাই উৎসবে সামিল হয়না। সবাই কী ভাবছে,এটা নিয়েই সবসময় ভাবতে থাকে। অনেক শিশুরাই অতিরিক্ত উদ্বেগের শিকার। তাদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স অর্থাৎ মস্তিস্কের যে অংশ বোধ বা চেতনা নিয়ন্ত্রণ করে সেই অংশ, কাজ করা কমিয়ে দেয়। আবেগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় শিশুর চিন্তাভাবনা। তাই তাৎক্ষনিক মতামত নেওয়ার ক্ষেত্রে খুব দ্বন্ধের মধ্যে পড়ে এরা। তাহলে এই দীপাবলির আনন্দে কীভাবে আপনার সন্তানকে সামিল করবেন, ওকে ফিরিয়ে দেবেন ওর হারানো শৈশব জেনে নিন-
১। আপনার সন্তানকে বর্তমানে বাঁচতে সাহায্য করুন। ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে এর ভয় দেখাবেন না। সমকালীন সময়ে যেন ও নিজেকে জড়িয়ে নিতে পারে। ওকে বোঝান এটাই সবচেয়ে সুন্দর সময়।
২। পুজোর পরেই আপনার সন্তানের হয়তো পরীক্ষা। কিন্তু তা নিয়ে কখনই ভয় দেখাবেন না। পরীক্ষার ফল খারাপ হলে আপনারা কতটা রেগে যাবেন কিংবা অন্য় কারো ভাল রেজাল্টের উদাহরণ দেবেন না।
৩। সন্তানকে ক্ষমা করতে শেখান। সহানুভুতির সঙ্গে সে যেন সবাইকে দেখে। তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
৪। নিজেরা অকারণে উদ্বিগ্ন হবেন না। আপনার সন্তানের সঙ্গে স্কুলের বন্ধু ও শিক্ষকদের মধ্য়ে সুসম্পর্ক তৈরী করুন।
৫। আপনার শিশুকে ভালোবাসতে শেখান। সে যেন নিজেকে অবহেলিত না করে। ওর সেরা কাজে ওকে প্রশংসা করুন।
আশা করা যায়, এগুলি মেনে চললেই আপনার সন্তান, দীপাবলির আনন্দে মেতে উঠতে পারবে।