উচ্চ কোলেস্টেরলের এই ৫ লক্ষণ অবহেলা করলেই বিপদ! মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে

কোলেস্টেরল বললেই আমাদের সবার মনে প্রথমেই আসে যে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আসলে কোলেস্টেরল সুস্থ কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। কিন্তু এর মাত্রা বাড়তে শুরু করলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। সেগুলো জানলে কোলেস্টেরলের মাত্রা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই এই পোস্টে শরীরে কোলেস্টেরল বেশি থাকলে কী কী লক্ষণ দেখা দেয় তা জেনে নেব।

কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কারণ:

শরীরে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির অনেক কারণ রয়েছে যেমন চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, ব্যায়াম না করা, অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান এবং মদ্যপান। আরেকটি কারণ হলো বংশগতভাবেও কিছু লোকের কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। কিন্তু আমরা তা ধরতে পারি না। 

উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ:

১. একজন ব্যক্তির শরীরে কোলেস্টেরল বেশি থাকলে তা ত্বকে দেখা যায়। হ্যাঁ, অতিরিক্ত চর্বি থাকলে ত্বকে হলুদ দাগ বা ফোলা দেখা দেয়। এগুলো বেশিরভাগই চোখের চারপাশে বা কনুই ও হাঁটুতে হয়।

২. একইভাবে হাত-পায়েও কিছু লক্ষণ দেখা যায়। অর্থাৎ শরীরে কোলেস্টেরল জমলে ধমনী সংকুচিত হয়ে রক্ত ​​প্রবাহ কমতে শুরু করে। এর ফলে যেকোনো শারীরিক কার্যকলাপ করার সময় হাত-পায়ে ঝিঁ ঝিঁ ধরা, অসাড়তা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।

৩. উচ্চ কোলেস্টেরল পাচনতন্ত্রেও সমস্যা সৃষ্টি করে। এর ফলে পিত্তথলিতে পাথর তৈরি হতে শুরু করে। এছাড়াও পেটের উপরের ডান দিকে ব্যথা হয়।

৪. শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে ধমনীতে প্লাক জমতে শুরু করে এবং রক্ত ​​প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। এর ফলে বুকে ব্যথা হয়। বলা বাহুল্য, উচ্চ কোলেস্টেরলের সাধারণ লক্ষণ হলো বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট।

৫. প্লাকের কারণে ধমনী ফেটে গেলে বা বন্ধ হয়ে গেলে হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে স্ট্রোক হতে পারে। স্ট্রোক হলে শরীর অসাড় হয়ে যায়, কথা বলতে অসুবিধা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করবেন কীভাবে?

- খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন। একইভাবে প্রক্রিয়াজাত এবং ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।

- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আপনার খাবারে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি করে যোগ করুন। এটি একটি স্বাস্থ্যকর চর্বি, তাই এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

- খাবারে দ্রবণীয় ফাইবারের পরিমাণ বাড়ান। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য করে।

- এছাড়া প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এটি ওজন স্বাস্থ্যকরভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করবে। সামান্য ওজন কমলেও কোলেস্টেরলের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে।

- ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করুন। নাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বেই।