শীতকালে গাছপালা ঠান্ডা ও হিমের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আপনিও যদি আপনার গাছকে সুস্থ ও সবুজ রাখতে চান, তাহলে পাঁচটি সহজ ঘরোয়া উপায় আপনার খুব কাজে আসবে। যেমন মালচিং করা, সুরক্ষিত জায়গায় রাখা, রাতে জল দেওয়া এড়ানো এবং ঢেকে রাখা।
শীতকালীন গাছের যত্ন: যদিও শীতকাল মানুষের জন্য আরামদায়ক ঋতু, কিন্তু গাছের জন্য এটি কঠিন হতে পারে। ঠান্ডা বাতাস, হিম, কুয়াশা এবং কম রোদ গাছের বৃদ্ধি থামিয়ে দিতে পারে, পাতা হলুদ করে দিতে পারে, এবং কখনও কখনও গাছ শুকিয়েও যেতে পারে। টবের গাছ ঠান্ডার প্রতি বেশি সংবেদনশীল হয় কারণ তাদের শিকড় সরাসরি ঠান্ডা মাটির সংস্পর্শে আসে। যদি সময়মতো সঠিক যত্ন না নেওয়া হয়, তাহলে আপনার যত্ন করে বড় করা গাছ খারাপ হয়ে যেতে পারে। ভালো খবর হলো, কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় আপনি শীতে আপনার গাছকে বাঁচাতে পারেন এবং তাদের সুস্থ রাখতে পারেন।
গাছকে ঠান্ডা বাতাস থেকে বাঁচান
জোরালো, ঠান্ডা বাতাস শীতে গাছের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ। তাই, টবের গাছগুলিকে খোলা জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়ালের কাছে, বারান্দার কোণায় বা রেলিংয়ের কাছে সুরক্ষিত জায়গায় রাখুন। এতে ঠান্ডা বাতাস সরাসরি গাছের উপর লাগবে না এবং তাপমাত্রা আরও स्थिर থাকবে। খুব ঠান্ডা এলাকায়, রাতে গাছগুলিকে ঘরের ভিতরে বা ঢাকা জায়গায় রাখাও উপকারী।
পুরানো কাপড় বা বস্তা দিয়ে গাছ ঢেকে দিন

যখন রাতে তাপমাত্রা কমে যায়, তখন আপনার গাছগুলিকে হালকাভাবে পুরানো কাপড়, বস্তা বা খবরের কাগজ দিয়ে ঢেকে দিন। এই পদ্ধতিটি হিম এবং ঠান্ডা বাতাস থেকে বাঁচায়। মনে রাখবেন যে দিনের বেলায় রোদ উঠলে কাপড়টি সরিয়ে ফেলুন যাতে গাছ ছায়া ও রোদ পায়। প্লাস্টিকের শিট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন, কারণ প্লাস্টিক আর্দ্রতা আটকে ফেলতে পারে।
জল দেওয়ার সঠিক সময় বেছে নিন
শীতকালে বেশি জল দেওয়া গাছের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। রাতে জল দিলে মাটি ঠান্ডা হয়ে যায় এবং শিকড়ে পচন ধরতে পারে। हमेशा সকালে হালকা জল দিন যাতে মাটি দিনের বেলায় শুকিয়ে যায়। মাটি স্যাঁতস্যাঁতে রাখুন, ভেজা নয়।
মালচিং করলে শিকড় গরম থাকবে
মাটির উপরের স্তরকে শুকনো পাতা, খড়, নারকেলের ছোবড়া বা কাঠের গুঁড়ো দিয়ে ঢেকে দেওয়াকে মালচিং বলে। এটি মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং শিকড়কে ঠান্ডা থেকে বাঁচায়। এই পদ্ধতিটি বিশেষ করে টবের গাছ এবং কিচেন গার্ডেনের জন্য উপকারী।

হালকা জৈব সার দিন
শীতকালে গাছের বৃদ্ধি ধীর হয়ে যায়, তাই ভারী রাসায়নিক সার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। প্রতি ১৫-২০ দিন অন্তর একবার ভার্মিকোমপোস্ট বা ভালোভাবে পচানো গোবর সার দিন। এতে গাছ পুষ্টি পাবে এবং ঠান্ডার প্রতিরোধ ভালোভাবে করতে পারবে।


