খাবার খাওয়ার পরে অবশ্যই করুন এই কয়েকটি কাজ! আর কোনও দিনও গ্যাস, অম্বলের ওষুধ খেতে হবে না

খাবার পর হাঁটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্য এবং হজমশক্তি উন্নত করে। খাবার পর হাঁটা ভাল, তবে সঠিকভাবে হাঁটা এবং হাঁটার মাধ্যমে আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ৫ টি টিপস দেখে নেওয়া যাক।

১০-১৫ মিনিট বিশ্রাম

আমাদের অনেকেই খাওয়ার পরপরই উঠে দাঁড়াই না, বরং কিছুক্ষণ বসে থাকি। খাওয়ার পর একটু বিশ্রাম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। খাওয়ার পর ১০-১৫ মিনিট বিশ্রাম নেওয়া উচিত। এটাই আমাদের পূর্বপুরুষরা বলতেন "উন্ড ময়ক্কম তোন্ডনুক্কুম"। এই ছোট্ট বিশ্রাম আমাদের খাওয়া খাবার পেটে হজম হতে শুরু করে। এই বিশ্রাম হাঁটার সময় অস্বস্তি এবং পেশীতে টান পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। হাঁটা শুরু করার আগে এক কাপ পানি পান করা আরও ভাল।

সঙ্গীতে হাঁটা

২০১১ সালে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার পর বিশ্রাম নেওয়া এবং তারপর ৩০-৬০ মিনিট হাঁটা ভাল। গ্যাস, বদহজম ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য খাবার পর হাঁটা খুবই উপকারী। এটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং হজমের সমস্যা দূর করে। খাওয়ার পরপরই দ্রুত হাঁটা উচিত নয়। কারও সাথে কথা বলতে বলতে হাঁটা অথবা গান শুনতে শুনতে হাঁটা যথেষ্ট। ধীরে হাঁটা হজমশক্তি বাড়াতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

সহজ হাতের ব্যায়াম

১. হাত ভালো করে প্রসারিত করে আঙ্গুলগুলো ধীরে ধীরে খুলুন এবং বন্ধ করুন (১০ বার করুন)।

২. কব্জি ঘুরিয়ে, ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং বিপরীত দিকে কয়েক সেকেন্ড ঘোরান।

৩. কাঁধের নড়াচড়ার জন্য হাত সামনে এবং পিছনে ঘোরান।

৪. বুড়ো আঙুল দিয়ে প্রতিটি আঙুলের ডগা স্পর্শ করুন।

এই হাতের নড়াচড়া আমাদের উত্তেজনা দূর করে এবং মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়।

গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস (Deep Breathing)

শ্বাস নেওয়ার সময় বাতাস ভালো করে টেনে গভীর শ্বাস নিতে হবে। গভীর শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে বাতাস ছাড়তে হবে। এটি অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ায় এবং হজমে সাহায্য করে। একটি শান্ত হাঁটা মানসিক চাপ কমায় এবং সামগ্রিক মানসিক অবস্থার উন্নতি করে। ২০১৮ সালে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শ্বাস নিতে নিতে হাঁটা হৃদরোগীদের শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে।