সময়ের নিয়মে বয়স বাড়বেই। তাকে ধরে রাখার সাধ্য নেই কারও। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে জীবনে, চেহারায় যে পরিবর্তন আসে তা কিন্তু কেউই সহজে মেনে নিতে পারেন না। তাই শরীরচর্চা ও রূপচর্চায় বাড়তি নজর দেন সকলে।

সাতসকালের কিছু ভুল অভ্যাস আপনার সারাদিনের এনার্জি লেভেলকে ডাউন করে দিতে পারে। যেমন: অপর্যাপ্ত ঘুম, মোবাইলে অতিরিক্ত স্ক্রল করা, তাড়াহুড়ো করে প্রাতঃরাশ করা, বা স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া—এগুলো সরাসরি বয়স না বাড়ালেও ত্বকের বার্ধক্য, মানসিক চাপ, এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটিয়ে আপনাকে দ্রুত বুড়িয়ে যেতে সাহায্য করে।যা বয়সের ছাপ ফেলতে পারে এবং জীবনীশক্তি কমিয়ে দিতে পারে, তাই সকালে কিছু ভালো অভ্যাস, যেমন - বই পড়া, ধ্যান, এবং স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট সামগ্রিক তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

বার্ধক্যকে ত্বরান্বিত করে এমন কিছু সকালের অভ্যাস (Bad Morning Habits):

মোবাইল/সোশ্যাল মিডিয়া: ঘুম ভাঙার সাথে সাথে মোবাইল দেখা, বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা, মানসিক চাপ বাড়ায় এবং চোখের ওপর চাপ ফেলে, যা অকাল বার্ধক্যের কারণ হতে পারে।

অপর্যাপ্ত জলপান: সকালে পর্যাপ্ত জল পান না করলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়, ত্বক শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ দেখায় এবং বলিরেখা স্পষ্ট হয়।

তাড়াহুড়ো করে জলখাবার: স্বাস্থ্যকর প্রাতঃরাশ বাদ দেওয়া বা তাড়াহুড়ো করে খাওয়া, যা সারাদিনের এনার্জি লেভেলকে প্রভাবিত করে।

অতিরিক্ত ক্যাফেইন: অতিরিক্ত কফি পান করা, যা শরীরকে ডিহাইড্রেট করতে পারে এবং স্ট্রেস হরমোন বাড়াতে পারে।

ব্যায়াম না করা: সকালে হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি না করলে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায় এবং সারাদিনের জন্য এনার্জি কমে যায়।

তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়ক কিছু সকালের অভ্যাস (Good Morning Habits):

পর্যাপ্ত জলপান: ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস জল পান করুন শরীরকে সতেজ করতে।

বই পড়া: প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট বই পড়া মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং মনকে শান্ত রাখে।

ধ্যান: ৫-১০ মিনিট ধ্যান করলে মানসিক চাপ কমে এবং মন প্রফুল্ল থাকে।

ব্যায়াম: হালকা যোগা বা মর্নিং ওয়াক সারাদিনের জন্য শরীরকে চাঙ্গা রাখে।

স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট: ফল, ডিম, ওটস বা বাদাম দিয়ে একটি পুষ্টিকর ব্রেকফাস্ট সারাদিনের জন্য শক্তি জোগায়। এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করে আপনি আপনার বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে শুধু ধীরই করবেন না, বরং সুস্থ ও প্রাণবন্তও থাকতে পারবেন।