কাজের তাড়াহুড়ায় ফ্রিজ থেকে বের করা ঠান্ডা ডিম সেদ্ধ করতে বসিয়ে দেন অনেকেই। তবে এই সাধারণ অভ্যাস দেখে আনতে পারে বিপদ, আজই সতর্ক হোন।

আমাদের প্রতিদিনের প্রাতঃরাশ হোক বা পিকনিকের টিফিন, শরীরচর্চায় প্রোটিনের উৎসই হোক বা বাড়িতে নিরামিষের দিন অপছন্দের খাবারের বিকল্প, ডিম সব জায়গায় নিজের স্থান দখল করে রেখেছে। রোজ রোজ দোকান থেকে কিনে এনে রান্না করা আজকাল ব্যস্ত জীবনে সম্ভব নয়, তাই বেশিরভাগ বাড়িতে ফ্রিজেই মজুত করে রাখা হয় ডিম। কিন্তু ফ্রিজের ঠান্ডা ডিম আপনিও কি সরাসরি সেদ্ধ করতে বসিয়ে দেন? আজই বন্ধ করুন, এই সাধারণ অভ্যাসটি নানা ধরনের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। সঠিক উপায়ে ডিম রান্না করলে যেমন স্বাদ এবং গুণাগুণ অটুট থাকে, তেমনই রান্নার সময়ও কমে আসে।

ডিম সেদ্ধ করার আগে ঘরের তাপমাত্রায় আনা জরুরি কেন?

১। ডিম ফেটে যাওয়া

ফ্রিজ থেকে বের করা ঠান্ডা ডিম যখন গরম জলে সেদ্ধ করতে দেন, তখন তাপমাত্রার আকস্মিক পরিবর্তনে ডিমের খোলা ফেটে যেতে পারে। এতে ভিতরের কুসুম ও সাদা অংশ বেরিয়ে এসে গরম জলে মিশে গিয়ে নষ্ট হয়।

২। রান্নার সময় ও জ্বালানি অপচয়

ঠান্ডা ডিম সেদ্ধ করতে তুলনামূলকভাবে বেশি সময় লাগে। এর ফলে গ্যাস বা ইলেকট্রিক খরচও বেড়ে যায়। সময়ের দিক থেকেও এই পদ্ধতি ব্যয়বহুল। বিশেষ করে তাড়াহুড়োর সময় এই উপায় অনুপযোগী।

৩। ডিম ঠিকভাবে সেদ্ধ না হওয়া

শীতকালে ফ্রিজের তাপমাত্রা কম থাকলে কুসুম জমে যেতে পারে। ফলে বাইরের অংশ সেদ্ধ হলেও ভিতরের অংশ কাঁচা থেকে যায়। বিশেষ করে যদি হার্ড বয়েলড ডিমের প্রয়োজন হলে, ডিম ফ্রিজ থেকে অন্তত আধ ঘণ্টা আগে বার করে রাখা দরকার।

৪। খোসা ছাড়াতে সমস্যা

ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা ডিম সেদ্ধ করতে দিলে খোসা ছাড়াতে গিয়ে সমস্যা হয়। অনেক সময় ডিমের সাদা অংশ খোসার সঙ্গে লেগে ভেঙে যায়। তবে, জলে নুন বা ভিনিগার দিলে কিছুটা উপকার মেলে খোসা ছাড়ানোর সময়।

কীভাবে ডিম দ্রুত ঘরের তাপমাত্রায় আনবেন?

যদি সময় কম থাকে এবং ডিম রান্না করতে হয়, তবে ঠান্ডা ডিম ঈষদুষ্ণ জলে মাত্র ৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এতে ডিমের ঠান্ডাভাব অনেকটাই কেটে যাবে এবং নিরাপদে সেদ্ধ বা পোচ করা যাবে। এছাড়াও হার্ড বয়েল করতে চাইলে ডিম ফ্রিজ থেকে অন্তত আধ ঘণ্টা আগে বার করে রাখা দরকার।