কেলা বনাম খেজুর! এই ফলেই রয়েছে পুষ্টির ভাণ্ডার, পাতে রাখুন রোজ
কেলা ও খেজুর, দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু কোনটিতে বেশি পুষ্টিগুণ? জেনে নিন কোন ফলটি কী কী ক্ষেত্রে উপযোগী এবং কাদের এড়িয়ে চলা উচিত।

আমাদের সবার খাদ্যতালিকায় কেলা এবং খেজুর দুটোই থাকে। উভয় ফলেই প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে এবং এগুলি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অনেকেই ভাবেন যে কেলা বেশি উপকারী নাকি খেজুর। এটা জানা জরুরি যে দুটোরই আলাদা আলাদা উপকারিতা আছে, তবে প্রত্যেকের শরীর ও স্বাস্থ্যের চাহিদা অনুযায়ী এগুলি খাওয়া উচিত। যদি আপনার শক্তির প্রয়োজন হয়, ওজন বাড়াতে চান, বা পেশী পুনরুদ্ধার করতে চান তবে কেলা ভালো। অন্যদিকে, যদি আপনার রক্তস্বল্পতা থাকে, হাড় মজবুত করতে চান, বা দীর্ঘ সময় ধরে স্ট্যামিনা প্রয়োজন হয় তবে খেজুর ভালো।
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
লৌহের ভাণ্ডার:
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা রক্তস্বল্পতায় ভোগা লোকদের জন্য উপকারী।
হাড় মজবুত করে:
এতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
শক্তিবর্ধক:
প্রাকৃতিক শর্করা যেমন গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ সমৃদ্ধ খেজুর দ্রুত শক্তি যোগায়।
হৃদয়ের জন্য উপকারী:
পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে।
ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য:
এতে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী।
খেজুর খাওয়ার অপকারিতা
- ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর: এতে প্রাকৃতিক শর্করা বেশি থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে।
- ওজন বাড়ায়: বেশি পরিমাণে খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- গরম তাসীর: গরম তাসীরের কারণে গরমকালে বেশি খেলে মুখে ঘা বা নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
কারা খেজুর খাবেন না?
- ডায়াবেটিস রোগী
- যাদের শরীর গরম তাসীরের
- যাদের অ্যাসিডিটি, নাক দিয়ে রক্ত পড়া বা লিভারের সমস্যা আছে
কেলা খাওয়ার উপকারিতা
শক্তির ভালো উৎস:
কেলা দ্রুত শক্তি যোগায়, তাই জিমে যাওয়ার আগে বা সকালের নাস্তায় এটি খুব উপকারী।
পাচনের জন্য উপকারী:
ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় কেলা পাচনক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:
এতে পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ওজন বাড়াতে সাহায্য করে:
যারা রোগা-পাতলা, তাদের জন্য কেলা এবং দুধের সংমিশ্রণ ওজন বাড়াতে কার্যকর।
পেশী পুনরুদ্ধারের জন্য:
কেলা ব্যায়ামের পর পেশী পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
কেলা খাওয়ার অপকারিতা
- ডায়াবেটিস রোগীদের সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত কারণ এতে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে।
- বেশি পাকা কেলা গ্যাস এবং পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- ঠান্ডা তাসীরের, তাই শীতকালে বেশি খেলে ক্ষতি হতে পারে।
কারা কেলা খাবেন না?
- ডায়াবেটিস রোগী (সীমিত পরিমাণে)
- যাদের অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা পেট ফাঁপার সমস্যা আছে
- শীতে জ্বর-সর্দি হলে বেশি খাবেন না
