সংক্ষিপ্ত
ঘুমানোর আগে ধ্যান করলে কী হয়? জেনে নিন এর কিছু ম্যাজিকাল উপকারিতা
ধ্যান স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভালো তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। তবে অনেকে ধ্যান করেন সকালে ঘুম থেকে উঠেই। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু কখনও রাতে ঘুমানোর আগে চেষ্টা করেছেন? আসলে, আজকাল অনেকেই ঘুম সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন। অনিদ্রা, উদ্বেগ, মানসিক চাপের মতো সমস্যায় ভুগছেন। তবে রাতে ঘুমানোর আগে ধ্যান করলে এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ঘুমানোর আগে কেন ধ্যান করবেন?
ধ্যান করা মানে শ্বাসের উপর মনোযোগ দেওয়া। রাতে ঘুমানোর আগে ধ্যান করলে প্রশান্তি পাওয়া যায়। শরীর ও মনকে প্রশান্তি দিতে সাহায্য করে। ঘুমাতে অসুবিধা হওয়া অনেক মানুষ উদ্বেগজনক চিন্তা, মানসিক চাপ বা অতিরিক্ত সক্রিয় মনের সাথে লড়াই করেন। তাদের বিশ্রাম নেই। ধ্যান করলে আবার বিশ্রাম পাওয়া যায়।
১. মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়
ধ্যানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হল মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমানো। ধ্যান শরীরে শিথিল প্রতিক্রিয়া জাগায়, মানসিক চাপের জন্য দায়ী হরমোন কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। শ্বাসের উপর মনোযোগ দিলে বা শান্ত চিত্রকল্পের মাধ্যমে ধ্যান মানসিক অস্থিরতা কমায়। এর ফলে মানসিক প্রশান্তি আসে। ঘুমের মান উন্নত হয়। এটি মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ভেঙে দিতে এবং অভ্যন্তরীণ প্রশান্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
২. মানসিক প্রশান্তি
ঘুমানোর আগে ধ্যান মানসিক ও শারীরিকভাবে গভীর প্রশান্তি দেয়। ধ্যানের সময়, আপনার পেশীগুলি ধীরে ধীরে শিথিল হয়, হৃদস্পন্দন ধীর হয়। আপনার মন শান্ত হয়। শরীরকে শান্ত ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে। এটি দিনের সঞ্চিত শারীরিক চাপও কমাতে পারে।
৩. ঘুমের মান উন্নত করে
ঘুমানোর আগে ধ্যান করা অনেক মানুষ তাদের ঘুমের মান উন্নত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। আধুনিক জীবনযাত্রার উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান সাহায্য করে। নিয়মিত ধ্যান অভ্যাস ঘুমের সময়কাল বাড়ায়, ঘুমাতে সময় লাগে কম।
৪. মানসিক স্বচ্ছতা বাড়ায়
ধ্যান করলে মানসিক স্বচ্ছতা বাড়ে। রাতে ধ্যান করলে আপনার মনোযোগ বাড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই মনোযোগ মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে, মানসিক বিভ্রান্তি কমায়, যা ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক।
৫. উন্নত শারীরিক স্বাস্থ্যে সহায়তা করে
ধ্যান করলে শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। রক্তচাপ কমায়। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, গবেষণায় দেখা গেছে এগুলি সবই ঘুমের মান উন্নত করতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ ও উদ্বেগ শারীরিক রোগকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই মানসিক চাপ কমিয়ে ধ্যান মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এমন পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।