Health: প্রতিদিন হাঁটলেই ফিটনেস! ঠিক কত পা হাঁটবেন? জেনে নিন গোপন রহস্য
- FB
- TW
- Linkdin
আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং রোগের ঝুঁকি কমাতে, ওজন কমাতে যদি একটি মাত্র ওষুধ থাকে, তবে তা হল হাঁটা। দৈনন্দিন জীবনে হাঁটাকে অন্তর্ভুক্ত করলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা এড়ানো যায়।
হাঁটার উপকারিতা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। জার্নাল অফ আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (JAMA) একটি গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁটার মাধ্যমে ৭২ শতাংশ মানুষের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমেছে।
হাঁটার উপকারিতা:
হাঁটা খাবারের শক্তিকে আমাদের পেশী কোষে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। সেখানে এটি শরীরের জন্য ব্যবহারযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই প্রক্রিয়াটি না হলে, খাবারের শক্তি শরীরের চর্বিতে জমা হয়। এতে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
নিয়মিত হাঁটা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ধমনীর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। হাঁটার গতি গুরুত্বপূর্ণ নয়। ধীরে হাঁটার চেয়ে দ্রুত হাঁটাই ভালো। এই গবেষণায় বলা হয়েছে, হাঁটার গতি বাড়ানোর চেয়ে বেশি দূরত্ব হাঁটাই গুরুত্বপূর্ণ।
কারা বেশি উপকৃত হন?
হাঁটা সবার জন্য উপকারী। বিশেষ করে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য হাঁটা খুবই উপকারী। সপ্তাহে তিন থেকে সাত দিন ৮,০০০ পা হাঁটা মৃত্যুকে বিলম্বিত করতে পারে বলে জামার গবেষণায় দেখা গেছে।
বার্ধক্যে সুস্থ থাকার জন্য হাঁটা অপরিহার্য। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করলে খুব শীঘ্রই এর উপকারিতা দেখা যাবে।
হাঁটা বাড়ানোর সহজ উপায়:
দৈনন্দিন কাজের মাধ্যমেই হাঁটা বাড়ানো যায়। ফোনে কথা বলার সময় বা মিটিংয়ের সময় হেঁটে হেঁটে কথা বলুন। কাজের ফাঁকে কিছুক্ষণ হাঁটুন। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
ওজন কমানোর জন্য এবং সুস্থ থাকার জন্য জটিল ব্যায়াম বা অবিশ্বাস্য ডায়েটের পরিবর্তে হাঁটাকে বেছে নিন। প্রতিদিন কিছুটা হাঁটা আপনার সুস্থ জীবনের ভিত্তি হয়ে উঠবে।