শীতে হলুদের সঙ্গে দুধ পান কেন করবেন? জেনে নিন এর অজানা কিছু উপকারিতা
- FB
- TW
- Linkdin
হলুদ দুধ, যা গোল্ডেন মিল্ক নামেও পরিচিত, সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা উন্নত করার জন্য বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত একটি ঐতিহ্যবাহী পানীয়। এই পানীয়টি হলুদ, আদা, কালো মরিচ এবং দুধ দিয়ে তৈরি, এবং এটি অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতায় ভরপুর। শীতকালে হলুদ দুধ পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
হলুদ দুধ পানের উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে
সর্দি, কাশি, সর্দি উপশম করে
প্রদাহ এবং জয়েন্টের ব্যথা কমায়
হজমে সাহায্য করে এবং বমি বমি ভাব উপশম করে
শিথিলতা বৃদ্ধি করে এবং ঘুমের মান উন্নত করে
সতর্কতা
হলুদ দুধ সাধারণত নিরাপদ হলেও, কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের পান করার আগে তাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
রক্তপাতজনিত সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিদের হলুদ দুধ এড়িয়ে চলা উচিত।
এছাড়াও, ডায়াবেটিস রোগীদের তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
পিত্তথলির পাথর আছে এমন ব্যক্তিদের পান করার আগে তাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করা উচিত
অস্ত্রোপচারের কমপক্ষে ২ সপ্তাহ আগে আপনার হলুদ দুধ পান করা বন্ধ করা উচিত এবং যদি আপনার কোনো অ্যালার্জি থাকে, বিশেষ করে হলুদ, আদা বা দুধের প্রতি, তাহলে এটি এড়িয়ে চলা উচিত।
হলুদ দুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বিরল হলেও, কিছু লোক হলুদ দুধ পান করার পরে প্রতিকূল প্রভাব অনুভব করতে পারে:
অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া যেমন চুলকানি বা শ্বাসকষ্ট
পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়া
রক্ত পাতলা করার ওষুধ বা ডায়াবেটিসের ওষুধের মতো কিছু ওষুধের সাথে মিথস্ক্রিয়া
হলুদ দুধ পান করার উপযুক্ত সময় কখন?
হলুদ দুধ একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় হলেও, সঠিক সময়ে এটি পান করলে এর উপকারিতা বৃদ্ধি পেতে পারে:
খাবার পরে হলুদ দুধ পান হজমে সাহায্য করে, বমি বমি ভাব উপশম করে। সর্দি এবং জ্বরের সময়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে হলুদ দুধ পান করুন। ঘুমানোর আগে হলুদ দুধ পান শিথিলতা বৃদ্ধি করে এবং ঘুমের মান উন্নত করে।
হলুদ দুধ একটি পুষ্টিকর এবং আরামদায়ক পানীয় যা অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। যাইহোক, নিরাপদে পান করার জন্য সতর্কতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং প্রতিকূল প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকা গতানুগতিক। এছাড়াও, হলুদ দুধ পান করার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা ভাল।