সংক্ষিপ্ত
সারাদিনের কাজের পর শরীরে ক্লান্তি থাকলেও ঘুমোতে গেলে ঘুম আসছে না। ছোট থেকে বড়, সকলেই ঘুমের সমস্যায় জর্জরিত। কোন সময়টা ঘুমোলো শরীরের জন্য ভাল, জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সারাদিনের কাজের পর শরীরে ক্লান্তি থাকলেও ঘুমোতে গেলে ঘুম আসছে না। ছোট থেকে বড়, সকলেই ঘুমের সমস্যায় জর্জরিত। কোন সময়টা ঘুমোলো শরীরের জন্য ভাল, জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।দুপুরে খাওয়ার পর অনেকেরই মনে হয় বিছানায় একটু শুলে ভাল হয়। কর্মজীবীরা অনেকসময়ে অফিসের মধ্যেই পাঁচ-দশ মিনিট নিজের চেয়ারেই মাথা নীচু করে ঘুমিয়ে নেন। সারাদিনে কাজের পর শরীরে যেন ক্লান্তি আসে। আর এই ক্লান্তি দূর করার জন্য একটু ঘুমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই ঘুম নিয়ে নানা বির্তক রয়েছ। কেউ বলে দুপুরে ঘুমানো শরীরের জন্য খারাপ, কেউ বলে মেদ জমে। আবার কেউ কেউ বলে দুপুরের এই ঘুম শরীরের জন্য ভাল।
দুপুরের ঘুমের ফলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। রাতের ঘুমের থেকে দুপুরের ঘুম অনেক শান্তিতে হয়। হাতে একটু সময় থাকলে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারেন। কারণ দুপুরের ঘুম অনেক শান্তিতে হয়। এই ঘুম থেকে ওঠার কোনও তাড়া থাকে না। অ্যালার্ম দিয়ে ওঠার কোন তাড়া থাকে না। দুপুরের ঘুমোলে ব্লাড প্রেসারের উপর ভাল প্রভাব ফেলে। দুপুরে ঘুমোলে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে এর পাশাপাশি মস্তিষ্ক অনেক বেশি ক্ষুরধার হয়। সৃজনশীলতা বাড়াতেও সাহায্য করে এই ভাতঘুম। তাই প্রতিদিন দুপুরে আধঘন্টা করে ঘুমোন। তা হলেই আপনার সৃজনশীলতা বাড়তে বাধ্য। দুপুরে ঘুমের ফলে মস্তিষ্কের বিশ্রাম হয়। যার ফলে চিন্তা শক্তি বৃদ্ধি পায়। মাথা যদি কোনও কারণে গরম খাকে তাহলে দুপুর বেলা ঘুমিয়ে পড়ুন। এতে স্নায়ুর উপরক চাপ কমে। মন ভাল হয়। অনেক সময়েই রাতের ঘুম পরিপূর্ণ হয় না। তার জন্য দুপুরের ঘুম বিশেষ দরকার। এতে ক্লান্তি কেটে যায়। তাই প্রয়োজনমতো যখন পারবেন একটু ঘুমিয়ে নেবেন।
তবে বর্তমান প্রজন্ম কাজের প্রয়োজনে হোক কিংবা টাইমপাস, সারাক্ষণই মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারে ব্যস্ত ছোট থেকে বড়রা। ডিজিট্যাল মাধ্যমে আপডেট থাকাই যেন নতুন প্রজন্মের কাছে হাল ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। এছাড়া ক্লাস থেকে শুরু করে অফিস সবটাই অনলাইনে চলছে বর্তমানে। বলতে গেলে দিনের অর্ধেকটা সময়ই কেটে যাচ্ছে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে। যত দিন যাচ্ছে, তত মানুষ যেন মেশিনে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। সারাদিনের ২৪ ঘন্টা যেন কম হয়ে যাচ্ছে প্রতিটা মানুষের জন্য। সারাদিনতো আছেই, এর পাশাপাশি রাতের ঘুমোনোর সময়েও বাড়েছে মোবাইল ঘাটার প্রবণতা। যতক্ষণ ঘুম আসছে না ততক্ষণই চলতে থাকে ফেসবুক,হোয়াটসঅ্যাপও এছাড়া আরও নানা সাইটে চোখ বোলানো। যা চরম ক্ষতি করছে শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্ক ও চোখের। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে এই ভয়ঙ্কর রোগে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি।