সংক্ষিপ্ত

বিজ্ঞানীরা যখন এই নিয়ে গবেষণা করেন, তখন পরিষ্কারভাবে জানা যায় যে, স্ত্রী কুমিরের কখনোই পুরুষ কুমিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। এটি একটি কুমিরে ভার্জিন বার্থের প্রথম ঘটনা।

 

একটি কুমির একা কোনও পুরুষ সঙ্গী ছাড়া গর্ভবতী হরেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তা অবাকও করেছে কোস্টারিকার একটি চিড়িয়াখানায় বিষয়টি সামনে এসেছে। যেখানে মহিলা কুমিরটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কুমিরটি একটি ভ্রূণ তৈরি করেছে। 

এই ধরনের গর্ভাবস্থাকে 'ভার্জিন বার্থ' বলা হয়। পাখির সঙ্গে মাছ ও অন্যান্য সরীসৃপের প্রজাতির মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটলেও কুমিরের মধ্যে 'ভার্জিন বার্থ'-এর ঘটনা এই প্রথম দেখা মিলল।

একটি কুমিরের মধ্যে ভার্জিন বার্থের প্রথম ঘটনাটি জানুয়ারী ২০১৮ সালে কোস্টারিকাতে একটি রিপোর্ট মিলেছিল যে, একটি মহিলা কুমির একাই ডিম পেড়েছিল, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে স্থানে এই ফিমেই কুমীরটি ১৬ বছর ধরে বাস করেছিল সেখানে কোনও পুরুষ কুমির ছিল না। 

কুমিরটি গর্ভবতী হওয়ার পর, ভার্জিন বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত ভার্জিনিয়া পলিটেকনিকের বৈজ্ঞানিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা যখন এই নিয়ে গবেষণা করেন, তখন পরিষ্কারভাবে জানা যায় যে, স্ত্রী কুমিরের কখনোই পুরুষ কুমিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। এটি একটি কুমিরে ভার্জিন বার্থের প্রথম ঘটনা।

বিবিসি জানিয়েছে, বিজ্ঞানীরা এই ধরনের ভার্জিন বার্থের গর্ভধারণকে পার্থেনোজেনেসিস বলে। রয়্যাল সোসাইটি জার্নাল বায়োলজি লেটার্স অনুসারে, গবেষকরা জানিয়েছেন যে বন্দী সরীসৃপদের ডিম পাড়ানো বিরল নয়। ফলাফলগুলি পরামর্শ দেয় যে পুরুষ অ্যালিগেটরদের অনুপস্থিতিতে সম্ভাব্য কার্যকারিতার জন্য ডিমের গবেষণা প্রয়োজনীয়। বিভিন্ন প্রজাতির পার্থেনোজেনেসিস কেন ঘটে তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে এই ঘটনাগুলি বেশ কয়েকবার রিপোর্ট করা হয়েছে, যে কারণে গবেষকরা এটি খুঁজছেন।