সংক্ষিপ্ত
আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরেরও পরিবর্তন দেখা যায় শীতকালে। এবং সেই কারণেই ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার সব কিছুরই পরিবর্তন দরকার। শীতকালীন এই ফলের মধ্যেই রয়েছে অসীম ক্ষমতা, যা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে রক্তচাপ সবই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
শীত প্রায় চলেই এসেছে। এই সময়টাতে আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরেরও পরিবর্তন দেখা যায়। এবং সেই কারণেই ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার সব কিছুরই পরিবর্তন দরকার। করোনার কারণে লোকেরা স্বাস্থ্য নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এই সময়টাতেই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ভীষণ জরুরি।শীতকালীন এই ফলের মধ্যেই রয়েছে অসীম ক্ষমতা, যা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে রক্তচাপ সবই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শরীর সুস্থ রাখতে কী খাবেন দেখে নিন সেই তালিকা।
শীতের প্রিয় ফল হিসাবে বেশ জনপ্রিয় পেয়ারা। পেয়ারার মধ্যে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা দেহে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং শরীরের কোষকে যে কোনও ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা হার্ট এবং রক্তে শর্করার জন্য খুব উপকারী।
শীতকালে অন্যতম ফল হল ন্যাসপাতি। এটি খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনি এর উপকারও অনেক। ন্যাসপাতিতে ভিটামিন ই এবং সি এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি রয়েছে, যা শরীরের জন্য ভাল।
শীতকাল আসলেই সবার আগে মনে পড়ে কমলালেবুর কথা। কমলালেবুতে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। প্রতিদিন ১ টা করে কমলালেবু খেলে সংক্রমণের ঝুঁকি যেমন কমে তেমনই শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে।
আপেল সারাবছরই পাওয়া যায়। আপেল শরীরকে অনেক রোগব্যাধি থেকে দূরে রাখে। আপেলে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং কে থাকে। প্রতিদিন একটা করে আপেল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে ওঠে।
যাদের শরীরে রক্ত কম তাদের জন্য বেদানা খুব উপকারি। বেদানা খেলে রক্ত পাতলা হয়, যা রক্তচাপ, হার্ট, ওজন হ্রাস এবং ত্বকের জন্য খুব ভাল।
প্রতিদিন সকালবেলার খাবারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেইদিক থেকে পেঁপে খুব উপকারী। প্রতিদিনের ব্রেকফাস্টে পাকা পেঁপে থাকলে তা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, এবং পেঁপেতে প্যাপাইন নামক উৎসেচক রয়েছে, যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
পটাশিয়াম, মিনারেলস, এবং ভিটামিন-সি তে পরিপূর্ণ আপেল প্রতিদিনের ব্রেকফাস্টে রাখুন। এতে হজম ক্ষমতা যেমন বাড়ে তেমনই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
হজমের জন্য সবচেয়ে উপকারী শশা। শশাতে ইরেপসিন নামক উৎসেচক রয়েছে। গ্যাসের সমস্যা থেকে পেপটিক আলসার বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন শশা খেলে। ওজন কমানোর জন্য শশা শরীরের জন্য উপকারী।
প্রতিদিনের ব্রেকফাস্টে কলা অবশ্যই রাখুন। কলার গুনাগুন সম্পর্কে সকলেই জানেন। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন কলা খান।
মধুর কোনও বিকল্প নেই। গলার খুসখুস কমানোর পাশাপাশি মধু ঠান্ডা দূর করে। গরম জলে লেবু ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সকালে এটি খেলে মেটাবলিজম বাড়ে।