ঘি খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো কী কী? এই উপাদানের কত বদগুণ রয়েছে জেনে নিন
- FB
- TW
- Linkdin
আমরা বিভিন্ন উপায়ে ঘি ব্যবহার করি। ডাল, তরকারিতে ঘি যোগ করলে স্বাদ বাড়ে। এছাড়াও আমরা অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও পাই। প্রকৃতপক্ষে, ঘিতে অনেক ধরণের পুষ্টি থাকে যা আমাদের সুস্থ রাখে। বিশেষ করে, এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ-এর মতো অনেক পুষ্টি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তদুপরি, ঘিতে থাকা বিউটাইরিক অ্যাসিড শরীরের রোগ প্রতিরোধী টি-কোষ উৎপাদনেও সাহায্য করে।
ঘি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যতই উপকারী হোক না কেন, এটি সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। হ্যাঁ, কিছু লোক ঘি না খেলেই সুস্থ থাকেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কারা ঘি খাওয়া উচিত নয় এবং কেন, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
কারা বেশি ঘি খাবেন না
পাচনতন্ত্রের সমস্যা
পাচনতন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য ঘি ভালো নয়। তাই যদি আপনার গ্যাস, বদহজমের মতো সমস্যা থাকে তবে বেশি ঘি খাবেন না। কারণ বেশি ঘি খেলে পাচনতন্ত্রের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
হৃদরোগ
হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য বেশি ঘি খাওয়া মোটেও ভালো নয়। কারণ ঘিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই আপনার হৃদয়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে ১০ মি.গ্রা. এর বেশি ঘি খাবেন না।
ওজন বৃদ্ধির সমস্যা
আপনি যদি ওজন কমাতে চান তবে ঘি খাবেন না। অথবা খেলেও বেশি খাবেন না। কারণ বেশি ঘি খেলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘিতে কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড বেশি থাকে যা ওজন বাড়ায়। এছাড়াও ঘিতে ক্যালোরিও বেশি থাকে। তাই বেশি ঘি খেলে স্থূলতা দেখা দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
কফের সমস্যা বাড়ায়
কাশি, সর্দি, জ্বরের মতো সমস্যা থাকলে ঘি না খাওয়াই ভালো। কারণ সর্দি হলে কফের সমস্যা বেশি হয়। এই সময়ে ঘি খেলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
দুধের অ্যালার্জি
কিছু লোকের দুধের অ্যালার্জি থাকে। তাদেরও ঘি খাওয়া উচিত নয়। কারণ দুধ এবং ঘি উভয়ই দুগ্ধজাত পণ্য। তাই যদি আপনার দুধের অ্যালার্জি থাকে তবে ঘি খাবেন না। শুধু ঘিই নয়, এর থেকে তৈরি সব ধরণের খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এই ধরনের লোকেরা ঘি খেলে ত্বকে ফুসকুড়ি, লালচে ভাব, বমি, পেটে গ্যাস, অসাড়তা, ফোলাভাব, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।