পর্যাপ্ত ঘুম শিশুদের জন্য অপরিহার্য: ব্যস্ত জীবনযাত্রায় শিশুদের সময়মতো ঘুম পাড়ানো একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেরিতে ঘুমানোর ফলে শিশুদের পড়াশোনা এবং স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে।
প্যারেন্টিং টিপস: ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে অনেক বাবা-মা প্রায়ই তাদের বাচ্চাদের তাড়াতাড়ি ঘুম পাড়াতে পারেন না। যদি তারা দেরিতে ঘুমায়, তাহলে বাচ্চারা সকালে স্কুলে যেতে অস্বীকার করে, যার ফলে তাদের পড়াশোনার উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। বাচ্চাদের সঠিক সময়ে ঘুম পাড়ালে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে। সঠিক সময়ে ঘুমালে তাদের মনোযোগ পড়াশোনায় থাকবে এবং তারা প্রতিটি কাজ শান্তিতে করার জন্য প্রস্তুত থাকবে। আজ আমরা এই লেখায় আপনাদের কিছু বিশেষ টিপস সম্পর্কে বলব, যার মাধ্যমে আপনি আপনার বাচ্চাদের দৈনন্দিন ঘুমের রুটিন ঠিক করতে পারবেন। আসুন এই টিপসগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
একটি সময় নির্ধারণ করুন
প্রতিদিন বাচ্চাদের একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করানোর চেষ্টা করুন। যেমন রাত ৯ টায় ঘুমানো এবং সকাল ৭ টায় ওঠা। এতে তাদের দৈনন্দিন সময়সূচী ঠিক থাকবে।
মোবাইল-টিভি থেকে দূরে রাখুন
ঘুমানোর আগে বাচ্চাদের মোবাইল এবং টিভি দেখতে দেবেন না। এতে তাদের মন শান্ত থাকবে এবং তারা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বে।
তাদের গল্প বলুন
ঘুমানোর আগে প্রতিদিন আপনার বাচ্চাকে আদর্শ গল্প বা ছড়া শোনান। এছাড়াও, তাদের সাথে বসুন এবং তাদের জড়িয়ে ধরুন, তাদের ভালোবাসুন। এতে আপনার বাচ্চা নিরাপদ বোধ করবে এবং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বে।
তাদের অবশ্যই খাবার দিন
ঘুমানোর আগে তাদের হালকা খাবার বা দুধ অবশ্যই দিন। এতে তাদের পেট ভরা থাকবে এবং তারা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বে।
তাদের ভালোবাসুন
আপনার বাচ্চাকে বকাঝকা করবেন না, তাকে ভালোবাসার সাথে বোঝান। এতে আপনার বাচ্চা আপনাকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে।


