সংক্ষিপ্ত

মূলত অনাভ্যাসের কারণ, অনিয়মিত জীবনযাত্রাই দায়ী এর পিছনে। যাদের জিনগত সমস্যা রয়েছে তারাও আক্রান্ত হন এই কঠিন রোগে । কীভাবে বুঝবেন ইউরিক অ্যাসিড না গাঁটের ব্যথা, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

পায়ের গোড়ালিতে, কিংবা হাঁটুতে ব্যথা মানেই হয় গাঁটের ব্যথা নয়তো ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা। তেমনটাই মনে করেন বেশিরভাগ মানুষ। বর্তমানে উচ্চ রক্তচাপ, সুগারের পাশাপাশি শরীরে থাবা বসাচ্ছে ইউরিক অ্যাসিড। আর এর জন্য বেশিরভাগটাই দায়ি আমরা নিজেরাই। মূলত অনাভ্যাসের কারণ, অনিয়মিত জীবনযাত্রাই দায়ী এর পিছনে। যাদের জিনগত সমস্যা রয়েছে তারাও আক্রান্ত হন এই কঠিন রোগে । কীভাবে বুঝবেন ইউরিক অ্যাসিড না গাঁটের ব্যথা, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

পায়ে কিংবা গোড়ালিতে ব্যথা হলেই সবার আগে ইউরিক অ্যাসিড পরীক্ষা করিয়ে নিন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে। তাহলেই খুব সহজে বুঝে যাবেন ব্যথাটা কিসের। সেই মতো চিকিৎসা করান। আর গাঁটের ব্যথা হলেও পেইনকিলার না খেয়ে ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিতে পারেন। এতে খানিকটা হলেও ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে তেল মশলাকে দূরে রাখুন। অতিরিক্ত মাত্রায় তেল মশলা এই রোগের জন্য ক্ষতিকারক। যতটা পারবেন হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়াও বড় মাছ, রেড মিট, চর্বি জাতীয় খাবার যতটা পারবেন এড়িয়ে চলুন। ডিম, সামুদ্রিক মাছ একদম খাবেন না। যারা অ্য়ালকোহলিক তারা খুব শীঘ্রই এটা বন্ধ করুন। এতে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি গাঁটের ব্যথাও দ্বিগুন হবে।

শরীরে কোনওরকম ব্যথা অনুভব করলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর যাদের ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে তারা প্রতি একমাস অন্তর চেকআপ করিয়ে নিন। ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কোনও ওষুধ না খাওয়াই শরীরের পক্ষে ভাল। শরীর সুস্থ রাখতে গেলে সবার আগে বশে রাখতে হবে নিজের ওজনকে। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বেশি মাত্রায় থাকলেই ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া আমরা প্রত্যেকেই জানি শরীরচর্চা করা শরীরের জন্য কতটা উপকারী। সুতরাং আর দেরি না করে সকালে বা সন্ধ্যায় নিয়মিত করুন যোগাভ্যাস। চাইলে আধ ঘন্টা করে হাঁটতেও পারেন। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন ভিটামিন সি। ইউরিক অ্য়াসিডের অব্য়র্থ ওষুধ হিসেবে কাজ করে এই ভিটামিন সি। খাওয়ার পরে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান। বাজার চলতি জুস, কোল্ড ড্রিঙ্ক যতটা পারবেন এড়িয়ে চলুন। লো ক্যালোরি যুক্ত খাবার ইউরিক অ্য়াসিডের জন্য় উপকারী। ফ্য়াট ফ্রি দুধ খেতে পারেন। এছাড়াও শাক সব্জি, পিনাট বাটার বেশি পরিমানে খান। দুধ চা, কফির বদলে চিনি ছাড়া ব্ল্য়াক কফিও খেতে পারেন। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা যাদের বেশি তারা খাদ্য তালিকায় অ্য়াপেল সিডার ভিনিগার রাখুন।