প্রত্যেক হিন্দু বাড়িতেই ভগবানের আসনে গঙ্গাজল থাকে। কারণ, গঙ্গাজলকে পবিত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পূজার্চনা-সহ নানা সময় গঙ্গাজল প্রয়োজনে লাগে। তবে যেভাবে সেভাবে গঙ্গাজল বাড়িতে রাখলে চলবে না। জানুন কিছু পদ্ধতি।

বাড়িতে গঙ্গাজল রাখার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। যা না মানলে সংসারে অমঙ্গল হতে পারে। গঙ্গা জল ছাড়া পবিত্র কোনো কাজ হয় না এটা তো সবাই জানেন। পুজো আর্চা থেকে শুরু করে যেকোনো শুভ কাজে যেখানে গঙ্গা জল প্রয়োজন সেখানে ব্যবহার করতেই হয়। এটি সর্বদা একটি উঁচু, পরিষ্কার, আলোযুক্ত স্থানে, পুজোর সামগ্রীর সঙ্গে রাখা উচিত। শোবার ঘর বা বাথরুমের কাছে নয়, কারণ ভুল স্থানে রাখলে এর পবিত্রতা নষ্ট হয় এবং নেগেটিভ শক্তি বাড়ে, যা বাস্তু ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে শুভ নয়, তাই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

* গঙ্গাজল রাখার নিয়ম ও গুরুত্ব:

সঠিক স্থান: গঙ্গাজল সবসময় একটি উঁচু ও পরিষ্কার স্থানে রাখা উচিত, যেখানে পর্যাপ্ত আলো পড়ে। এটি কখনও মেঝেতে রাখা উচিত নয়।

নিষিদ্ধ স্থান: শোবার ঘর, খাবার ঘর, রান্নাঘর বা বাথরুমের মতো জায়গা থেকে দূরে রাখুন। অন্ধকার বা অপরিষ্কার জায়গায়ও গঙ্গাজল রাখা উচিত নয়।

পবিত্রতা বজায় রাখা: এটি একটি পবিত্র জল, তাই এর পাত্র সবসময় পরিষ্কার ও পবিত্র হওয়া চাই। অপরিষ্কার বা অবহেলার সঙ্গে রাখলে এর ইতিবাচক শক্তি হ্রাস পায়।

বাস্তু ও আধ্যাত্মিক প্রভাব: বাস্তুশাস্ত্র মতে, সঠিক স্থানে রাখলে সংসারে ইতিবাচক শক্তি (Positive Energy) বৃদ্ধি পায়, অন্যদিকে ভুল জায়গায় রাখলে নেগেটিভ শক্তি বাড়ে, যা পারিবারিক অশান্তি ও অমঙ্গলের কারণ হতে পারে।

ব্যবহার: ঘর বা অফিসের কোণে নেতিবাচক শক্তি অনুভব করলে সামান্য গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিলে পরিবেশ শুদ্ধ হয় এবং অশান্তি কমে বলে বিশ্বাস করা হয়।

হাত না ধুয়ে কখনও গঙ্গাজলে হাত দেওয়া উচিত নয়। তাতেও সংসারের অমঙ্গল হতে পারে। শুদ্ধ বস্ত্রে হাত, পা পরিষ্কার করে তবেই গঙ্গাজল থাকা পাত্রে হাত দেওয়া উচিত। তাই এবার থেকে অবশ্যই এই নিয়মটি মানতে ভুলবেন না।

বাড়িতে গঙ্গাজল হয়তো কম রয়েছে। তা পরিমাণে বাড়ানোর জন্য অন্য জলের সঙ্গে মিশিয়ে নেন অনেকেই। ভাবেন হয়তো তাতেই শুদ্ধ হবে জল। বাস্তুশাস্ত্রবিদদের মতে, এই ভাবনা একেবারে ভুল। তাই ভুলেও এই কাজ করবেন না। তাতে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির অশুভ আগমন হতে পারে। সংসার হতে পারে ছারখার।