বাড়ি থেকে ইঁদুর তাড়াবে সামান্য একটা লবঙ্গ! এই ট্রিক জানা থাকলে আর কখনও সমস্যা হবে না
বাড়িতে ইঁদুরের উৎপাত কেমন হয় তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। একটি ইঁদুর ঢুকলেই যথেষ্ট, তাঁরা বংশবৃদ্ধি করে বাড়ি ভরে ফেলে। বিশেষ করে পুরনো বাড়িতে ইঁদুরের উৎপাত বেশি হয়। খাবার থেকে শুরু করে কাপড়, কাগজ সবই কুটকে নষ্ট করে। দোকানপাটেও ইঁদুরের উৎপাত একটা বড় সমস্যা। তাই অনেকেই বাজারে পাওয়া নানা ধরনের জিনিস ব্যবহার করে ইঁদুর তাড়ানোর চেষ্টা করেন।

কিছু জিনিসপত্র নিষিদ্ধ..
ইঁদুর তাড়ানোর জন্য বাজারে নানা ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি হল আঠা লাগানো কাগজের বোর্ড। এর উপর দিয়ে ইঁদুর গেলে আটকে যায়। তারপর প্রাণ যাওয়া পর্যন্ত ছটফট করতে থাকে।
তবে প্রাণীদের উপর নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইন ১৯৬০ এর ধারা ১১ অনুযায়ী ইঁদুর ধরার জন্য এ ধরনের জিনিস ব্যবহার নিষিদ্ধ। দেশের অনেক রাজ্যের সরকার ইতিমধ্যেই এই ধরনের আঠা লাগানো কাগজের বোর্ড নিষিদ্ধ করেছে।

তাহলে উপায়?
দেশজুড়ে প্রায় ১৬ টি রাজ্যে সরকার আঠা লাগানো কাগজের বোর্ড নিষিদ্ধ করেছে। তাহলে কীভাবে ইঁদুর তাড়াবেন, সেটাই এখন ভাবার বিষয়। তবে কি জানেন, এর জন্য প্রাকৃতিক উপায়ও আছে?
তার মধ্যে একটি হল লবঙ্গ। হ্যাঁ, লবঙ্গ দিয়ে ইঁদুর তাড়ানো যায়। অবাক লাগলেও লবঙ্গ এই কাজে বেশ কার্যকর। কীভাবে, তা এবার জেনে নেওয়া যাক।

কীভাবে ব্যবহার করবেন?
লবঙ্গের তীব্র গন্ধ ইঁদুর পছন্দ করে না। তাই লবঙ্গ যেখানে থাকে সেখানে ইঁদুর আসে না বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। যেখানে ইঁদুর বেশি ঘোরাফেরা করে সেখানে লবঙ্গ ছড়িয়ে দিন। বিশেষ করে রান্নাঘরের খাবারের পাত্রের কাছে, কাপড় রাখার আলমারিতে কিছু লবঙ্গ ছড়িয়ে দিন। এতে ইঁদুর সেদিকে আসবে না।

স্প্রে করেও ব্যবহার করতে পারেন..
লবঙ্গ দিয়ে স্প্রেও তৈরি করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে লবঙ্গ পানিতে ফুটিয়ে নিন। পানি অর্ধেক হয়ে গেলে নামিয়ে ছেঁকে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। এই পানি ঘরের সব জায়গায় স্প্রে করুন। বিশেষ করে ওয়াশ বেসিনের কোণে, জানালার ধারে লবঙ্গের পানি স্প্রে করুন। এতে ইঁদুর পালিয়ে যাবে।

এভাবেও ব্যবহার করতে পারেন..
আরও একটি উপায়ে লবঙ্গ দিয়ে ইঁদুর তাড়াতে পারেন। একটি পাতলা কাপড় নিন। তাতে কিছু লবঙ্গ নিয়ে পুটলি বেঁধে নিন। এই পুটলি ইঁদুর ঢোকার জানালা, দরজার কোণে, সিঁড়ির নিচে রেখে দিন। এতেও ইঁদুর সেদিকে আসবে না। লবঙ্গের তেল কাপড়ে ভিজিয়ে ব্যবহার করলেও ইঁদুর পালিয়ে যায়।
বিঃদ্রঃ উপরের তথ্যগুলো কেবলমাত্র ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত। এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
