সংক্ষিপ্ত
ভারতের মানুষের এইচএমপি ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এই ভাইরাসকে ভয় পাওয়া এবং গুরুত্ব সহকারে নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর লক্ষণগুলো সামান্য হলেও সমস্যা মাত্র এক সপ্তাহ বা দশ দিনের জন্য হলেও কিন্তু তিনিই বুদ্ধিমান, যিনি সঠিক সময়ে কাজ করেন। তাই সাবধানতা অবলম্বন করতে সময় নেবেন না। স্বাস্থ্যের কোনো শত্রুকে কখনোই হালকাভাবে নেবেন না। কারণ কখন তা বিপজ্জনক রূপ নেয় তা কেউ জানে না। তখন আপনার হাত ঘষা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।
বিশেষ করে যারা আগে থেকেই কোনো রোগে ভুগছেন, যেমন হাই বিপি বা সুগারের রোগী, তাদের সতর্ক থাকতে হবে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। এই মানুষগুলোরও সতর্ক হওয়া উচিত। এ ছাড়া যারা অলস জীবনযাপন করেন বা যারা সিগারেট-অ্যালকোহল পান করে ফুসফুস-লিভারকে দুর্বল করে দিয়েছেন। তাদেরও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
এইচএমপিভি কোভিডের মতো বিপজ্জনক কিনা তা ভুলে যান? শুধু মনে রাখবেন যে আপনি যদি সতর্ক হন তবে আপনি কখনই অসুস্থ হবেন না এবং তাও যখন স্বাস্থ্যের অনেক শত্রু রয়েছে। আজকাল ঠান্ডা বাতাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে, জীবনযাত্রার রোগ বাড়ছে, তাই আপনার যে কোনও ভাইরাস থেকে সাবধান হওয়া উচিত।
কীভাবে এইচএমপিভি এড়ানো যায়
শীতকালে যেকোনো ভাইরাসের আক্রমণ দ্রুত ও দ্রুত ঘটে। আজকাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। অতএব, এইচএমপি মত ভাইরাস এড়াতে, এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করুন। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে যোগব্যায়াম করুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। খুব বেশি ভাজাপোড়া খাবার খাবেন না। প্রচুর পরিমাণে ঘুমান এবং দিনে 4 লিটার পর্যন্ত জল পান করুন। আপনার হাত ঘন ঘন ধুয়ে নিন। কারও ঠান্ডা লাগলে মাস্ক পরুন। হাত স্যানিটাইজ করতে থাকুন।
এইচএমপিভি এড়াতে ডায়েট
শীতে ঘরে রান্না করা টাটকা খাবার খান। গরম ও টাটকা খাবার খেলে অনেক রোগের ঝুঁকি কমে। সবসময় ক্ষুধার্ত থাকার চেয়ে কম খাবেন। খাবারে প্রচুর পরিমাণে সালাদ এবং সালাদ অন্তর্ভুক্ত করুন। খাবারের সাথে তাজা দই বা বাটার মিল্ক নিতে ভুলবেন না। প্রতিদিন কাজ করতে ভুলবেন না। এতে আপনি নিজেকে ফিট রাখতে পারবেন।
ঠান্ডা লাগলে কী করবেন?
হালকা সর্দির সমস্যা থাকলে স্টিম নিন। লবণ পানি দিয়ে গার্গল করুন। আদা, তুলসী ও দারুচিনি দিয়ে চা পান করুন। হলুদ মেশানো দুধ খান। সকালে ও সন্ধ্যায় দুধের সঙ্গে চাওয়াপ্রাশ খান। গুড় ব্যবহার করুন। গোলমরিচ ব্যবহার করুন। এতে আপনার সর্দি কাশি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে থাকবে।