অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে কিডনি, হার্ট এবং লিভারের মতো অঙ্গগুলি মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয় এবং শরীরে টক্সিন জমা হয়। 

আজকাল খাবার থেকে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়া হচ্ছে। বেশি খাওয়া এবং খারাপ খাবারের কারণে কিডনি, হার্ট এবং লিভার এর মতো অঙ্গসমূহ মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। শরীরে টক্সিন জমা হতে শুরু করে। যার কারণে উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং থাইরয়েডের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়েছে। আপনার ডায়েট ধীরে ধীরে শরীরে বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

এর জন্য জরুরি হলো কিডনির সঠিকভাবে রক্ত ফিল্টার করা এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়া। কিডনির ফিল্টার উন্নত করার জন্য বাবা রামদেব বিশেষ কিছু ভেষজ উদ্ভিদ উল্লেখ করেছেন। যার ব্যবহার করার ফলে শরীরে জমা টক্সিনস বের হয়ে যায় এবং কিডনির ফিল্টার ক্ষমতায় উন্নতি ঘটে।

এই হারবালগুলোর ব্যবহার করার মাধ্যমে শরীরে বাড়তে থাকা ইউরিক অ্যাসিডকেও নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এই হারবালগুলোর ব্যবহার করার মাধ্যমে রক্তে বাড়তে থাকা ইউরিক অ্যাসিডকে স্বাভাবিকভাবে কম করা যেতে পারে।

কিডনির ফিল্টার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হারবালগুলোগোখরু - আয়ুর্বেদের মধ্যে গোখরুকে একটি কার্যকরী হারবাল হিসেবে ধরা হয়। গোখরুর ব্যবহার করে কিডনির স্বাস্থ্য উন্নত করা যেতে পারে। গোখরুর ব্যবহারে কিডনির ফিল্টার করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

গোখরোর রসে অক্সালেট, ফসফেট, ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমানোর উপাদানগুলো রয়েছে। এর ফলে রক্তের ইউরিয়া নাইট্রোজেন, ইউরিক অ্যাসিড এবং ক্রিয়েটিনিনও কম করা সম্ভব।

পুনর্ণবা - কিডনির ফিল্টার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পুনর্ণবার ব্যবহার কার্যকরী বলা হয়। এর ফলে শরীরে বাড়তে থাকা ইউরিক অ্যাসিডকেও কম করা যায়। পুনর্ণবার সেবনে ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। এতে বিশেষ প্রদাহরোধী গুণও রয়েছে যা জোড়ের ব্যথায় উপশম দেয়।

চন্দ্রপ্রভা ভাটি- আয়ুর্বেদে চন্দ্রপ্রভা ভাটিকে একটি কার্যকরী ঔষধি গাছ হিসেবে ধরা হয়। এটি ইউরিক অ্যাসিডের স্তর কমাতে সাহায্য করে। এই ঔষধি গাছের ব্যবহার করে ইউরিয়া এবং ক্রিয়েটিনিনের মতো টক্সিনগুলিকে কম করা যায়। গটের স্বাস্থ্যের জন্য এটি কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয়। এর ব্যবহার করলে পেটের সমস্যাগুলি কমে।