Skin Care tips: ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কৃত্রিমভাবে গ্লুটাথিয়নের ব্যবহার FDA স্বীকৃত নয়। তবুও গ্লাসের মতো চকচকে ত্বক পেতে এরই পিছনে ছুটে চলেছে গ্ল্যামার দুনিয়া। 

Skin Care: বর্তমানে বয়স কমাতে এবং ত্বক ঔজ্জ্বল্য এবং তারুণ্য ধরে রাখতে গ্লুটাথিয়ন ইনজেকশনের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে, বিশেষ করে গ্ল্যামার ওয়ার্লডে। এর এক একটি ইঞ্জেকশনের দাম অন্তত ৯০০০ টাকা। নিয়ম করে এমন অনেক ইঞ্জেকশন নিতে হয়, খরচা আসে অন্তত ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার প্যাকেজে। তবে সাম্প্রতি অভিনেত্রী শেফালি জরিওয়ালার মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণে গ্লুটাথিয়নের ইনজেকশন নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আসলে গ্লুটাথিয়ন একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, এটিকে অ্যান্টি এজিং অ্যান্টি অক্সিড্যান্টও বলা হয়। কৃত্রিমভাবে এর গ্রহণ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু নির্দিষ্ট খাবার নিয়মিত খেলে শরীর নিজেই গ্লুটাথিয়ন উৎপাদন করতে পারে।

গ্লুটাথিয়ন কী?

গ্লুটাথিয়ন হল শরীরের নিজস্ব অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা কোষের ক্ষয় রোধ করে এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়ক। এটি গ্লুটামিন, গ্লাইসিন এবং সিস্টিন নামক তিনটি অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি। ত্বক উজ্জ্বল রাখার পাশাপাশি ইমিউন সিস্টেমকেও শক্তিশালী করে গ্লুটাথিয়ন। কিন্তু কৃত্রিমভাবে এর ব্যবহার একেবারে ঝুঁকি মুক্ত নয়। এমনকি গ্লুটাথিয়োনের কৃত্রিম ব্যবহার FDA স্বীকৃত নয় বলেও ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

কোন কোন খাবারে গ্লুটাথিয়োন বাড়তে পারে?

পুষ্টিবিদ শ্রেয়া চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘গ্লুটাথিয়োনের জন্য প্রাকৃতিক উপাদানেও ভরসা করা যায়। এমন অনেক চেনা ফল বা শাক সব্জি রয়েছে যা ত্বকে গ্লুটাথিয়োনের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে।’’

১। সালফার সমৃদ্ধ খাবার

সালফার শরীরে গ্লুটাথিয়োন উৎপাদনে সাহায্য করে। তাই যে সমস্ত খাবারে সালফার রয়েছে যেমন পেঁয়াজ, রসুন, ব্রোকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালংশাক, ডিম, মুরগির মাংস, ডাল, বিনস ইত্যাদি, তা গ্লুটাথিয়োন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

২। ভিটামিন সি, কারকিউমিন, পলিফেনল, সেলেনিয়াম আছে এমন খাবার

কমলা লেবু, পাতিলেবুর মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, পলিফেনলে ভরপুর গ্রিন টি, সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ মাশরুম, ভিটামিন ই-তে ভরপুর সূর্যমুখীর বীজও ত্বকে গ্লুটাথিয়োন উৎপাদন বৃদ্ধি করে।

৩। আরও যে সমস্ত খাবার

আরও কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটাথিয়োন উৎপাদনে সাহায্য করে। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। যেমন- অ্যাভোকাডো, অ্যাসপারাগাস, জুকিনির মতো ফল। তবে এগুলি ভারতীয়দের মধ্যে খাওয়ার চল কম রয়েছে। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে