সংক্ষিপ্ত

মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা নীলাদ্রি-র নামে দমদম থানায় ৪৯৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। সেই মত তাঁকে রাতারাতি গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রথমদিকটায় কি হচ্ছে তা বুঝেই উঠতে পারেননি নীলাদ্রি।

 

এমনটা আবার হয় নাকি! অবাক লাগলেও বাস্তবেই এই ঘটনা ঘটেছে বেসরকারি সংস্থার এইচআর যুবকের সঙ্গে। পরিচর গোপণ রাখার ইচ্ছেতেই তার কোনও ছবি প্রকাশ্যে আসেনি হয়তো। গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদন অনুসারে এই যুবকের নাম নীলাদ্রি। জানা গিয়েছে মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা নীলাদ্রি-র নামে দমদম থানায় ৪৯৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। সেই মত তাঁকে রাতারাতি গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রথমদিকটায় কি হচ্ছে তা বুঝেই উঠতে পারেননি নীলাদ্রি।

তিনি সামলে নিয়ে পুলিশ-কে জানান যে তিনি বিয়েই করেননি। তিনি অবিবাহিত তাহলে তাঁর নামে কি করে ৪৯৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হল। কিন্তু ৪৯৮ কেস তাই কয়েকদিন তাঁকে থাকতে হল হাজতবাসে। এরপর নিজের আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করে তিনি সরকারের কাছে আরটিআই ফাইল করলে জানতে পারেন, তিনি বিবাহিত। তাঁর সঙ্গে কর্মরত এক জুনিয়রের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তাঁর। তারঁ নামে সেই মেয়েটিই দমদম থানায় ৪৯৮ মামলা দায়ের করেছে, এবং নিজেকে নীলাদ্রি-এর স্ত্রী বলে দাবি করেছেন।

এরপর জানা যায় মেয়েটিও এইচআর বিভাগে নীলাদ্রি-এর অধস্তন কর্মচারী ছিলেন। ফলে তাঁর পক্ষে নীলাদ্রির পরিচয়পত্রের প্রয়জনীয় নথি পাওয়া খুব একটা কঠিন বিষয় ছিল না। সেখানে থেকেই ভুয়ো সাক্ষীর নথি নিয়ে ম্যারেজ সার্টিফিকেটের নথি তৈরি করে ম্যারেজ রেজিস্ট্রি ছক কষেন তরুণী। তারপর নীলাদ্রি-এর নামে দমদম থানায় ৪৯৮ মামলা দায়ের করেন। জানা যায় তিনি অনেক দিন ধরে নীলাদ্রিকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন কিন্তু নীলাদ্রি তা নাকোচ করায় এই কাণ্ড ঘটান তিনি। তবে এবার আদালত মেয়েটিকে কি শাস্তি দেন সেটাই দেখার বিষয়।