আগামী ২৬শে ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি উদযাপিত হবে। এই দিনে ভগবান শিবের পূজা অর্চনা করা হয়। শিবলিঙ্গে কেন বেলপাতা অর্পণ করা হয় জানেন কি?
মহাশিবরাত্রি ২০২৫ : পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, সমুদ্র মন্থনের সময় পৃথিবীতে বিষ উৎপন্ন হয়েছিল। এই বিষের প্রভাবে জীবজন্তুর মৃত্যু হতে শুরু করে। এই বিষ পান করেছিলেন ভগবান শিব। ফলে তার কণ্ঠ নীল হয়ে যায়। তাই তাকে নীলকণ্ঠ বলা হয়। কিন্তু বিষের প্রভাবে শিবের মাথা খুব গরম হয়ে যায়। তার শরীরের জলের পরিমাণ কমতে থাকে।
শিবের এই অবস্থা দেখে অন্যান্য দেবতারা তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। তারা শিবের মাথায় বেলপাতা রেখে জল ঢালতে শুরু করেন। ফলে শিবের মাথা ঠান্ডা হয়। বেলপাতা শরীর ঠান্ডা রাখতে এবং জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই শিবপুজোয় বেলপাতা ব্যবহার করা হয়।
আরেকটি পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, দেবী পার্বতী শিবকে পেতে কঠোর তপস্যা করেছিলেন। একদিন শিব যখন বেলগাছের নিচে ধ্যান করছিলেন, তখন দেবী পার্বতী পুজোর সামগ্রী আনতে ভুলে যান। তখন তিনি গাছ থেকে ঝরে পড়া বেলপাতা দিয়ে শিবের পুজো করেন। শিব তাতে প্রসন্ন হন। তাই বেলপাতা শিবের প্রিয়।
মহাশিবরাত্রি হল ভগবান শিব ও দেবী পার্বতীর বিবাহের উৎসব। মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিব ও পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল বলে মনে করা হয়। এই দিনে উপবাস করে শিবের প্রিয় বস্তু অর্পণ করলে শিব প্রসন্ন হন। বেলপাতা শিবের অতি প্রিয়। দেবী পার্বতী নিজে বেলপাতা দিয়ে শিবের পুজো করেছিলেন।
আধ্যাত্মিক গ্রন্থে বলা হয়, বেলপাতা শিবকে অর্পণ করলে দাম্পত্য জীবনে সুখ ও রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শিবপুরাণে বেলপাতার মাহাত্ম্য বর্ণিত আছে। তিন লোকে যত তীর্থস্থান আছে, তার সবকটির মূল বেলপাতায় বর্তমান। শিবপুজোয় বেলপাতা ব্যবহার করলে শিবের বিশেষ কৃপা লাভ হয় বলে বিশ্বাস। বেলপাতার স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও অনেক।
(দাবিত্যাগ : এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। এই বিষয়ে Asianet News Bangla কোনও দাবি বা সমর্থন করে না। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
