১৪ই নভেম্বর শিশু দিবস উপলক্ষে এই নিবন্ধে বাচ্চাদের জন্য দিনটিকে স্মরণীয় করে তোলার পাঁচটি উপায় আলোচনা করা হয়েছে। এই উপায়গুলির মধ্যে রয়েছে অ্যামিউজমেন্ট পার্কে যাওয়া, একসঙ্গে বেকিং করা, গল্পের বই উপহার দেওয়া, পিৎজা পার্টির আয়োজন এবং সিনেমা দেখতে যাওয়া।

১৪ই নভেম্বর শিশু দিবস পালিত হয়। এই দিন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর জন্মদিন। চাচা নেহরু শিশুদের খুব ভালোবাসতেন, তাই ১৪ই নভেম্বর শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হয়। আপনিও যদি আপনার সন্তানদের জন্য এই দিনটিকে আনন্দময় করে তুলতে চান, তবে কিছু বিশেষ উপায় বেছে নিতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক, শিশু দিবসে বাচ্চাদের জন্য কী বিশেষ কাজ করা যেতে পারে।

অ্যামিউজমেন্ট পার্কে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন

আপনি যদি মেট্রো শহরে থাকেন, তাহলে শিশু দিবসের দিন বাচ্চাদের নিয়ে অ্যামিউজমেন্ট পার্কে যেতে পারেন। এখানে বাচ্চারা রোলার কোস্টারের পাশাপাশি ওয়াটার রাইড করে খুব আনন্দ পাবে। এছাড়াও, এখানে আপনি অনেক খেলাও পাবেন, যা বাচ্চার দিনটিকে বিশেষ করে তুলবে। বিশেষ অভিজ্ঞতার জন্য আপনি থিম পার্ক বা খেলার জন্য বাগানও বেছে নিতে পারেন, যা আপনার বাচ্চার দিনটিকে আরও আনন্দময় করে তুলবে।

বাচ্চাদের জন্য বেকিং করুন

শিশু দিবসে আপনার বাচ্চাদের খুশি করার জন্য বাড়িতে কিছু বিশেষ জিনিস তৈরি করতে পারেন। কেক, কুকিজ অথবা আগুন ছাড়া রান্নার সেশন রাখুন, যেখানে বাচ্চাদের সাথে রান্না করবেন। আপনি চাইলে বাচ্চাদের স্যান্ডউইচ বানানোও শেখাতে পারেন, এতে তারা খুব আনন্দ পাবে।

তাদের পছন্দের গল্পের বই কিনুন

আপনি বাচ্চাদের জন্য তাদের পছন্দের গল্পের বই শিশু দিবসের উপহার হিসেবে কিনে দিতে পারেন। এটি তাদের কাছে কোনও পুরস্কারের চেয়ে কম মনে হবে না। যদি আপনার বাচ্চার পছন্দের তালিকায় কোনো বিশেষ বই থাকে, তবে দেরি না করে এখনই অনলাইনে অর্ডার করে দিন।

বাড়িতে পিৎজা পার্টির পরিকল্পনা করুন

আপনি শিশু দিবসের সন্ধ্যায় একটি পিৎজা পার্টির পরিকল্পনা করতে পারেন। বাড়িতে বাচ্চাদের জন্য পিৎজা তৈরি করুন এবং তাদের বন্ধুদেরও আমন্ত্রণ জানান। বন্ধুদের সাথে পিৎজা খেয়ে আপনার সন্তান খুব খুশি হবে।

সিনেমা দেখার পরিকল্পনা করুন

শিশু দিবসের বিশেষ উপলক্ষে বাচ্চাদের সিনেমা দেখাতে থিয়েটারে নিয়ে যেতে পারেন। যদি তাদের পছন্দের তালিকায় আগে থেকেই কোনো সিনেমা থাকে, তাহলে এই বিশেষ দিনে সিনেমা দেখার পরিকল্পনা অবশ্যই করুন।