সংক্ষিপ্ত
১৯৮৪ সালে ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডিতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।এই দিনটিকে স্মরণ করতে এবং দূষণ বন্ধে মানুষকে সচেতন করতে এই দিনটিকে জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
দূষণ একটি বড় বিষয় যার সঙ্গে শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বই লড়াই করছে। মানুষের পাশাপাশি এর প্রভাব পড়ছে প্রকৃতিতেও। বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, জল দূষণের কারণে আমাদের জীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতি বছর এই দিনে অর্থাৎ ২ ডিসেম্বর জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস পালন করা হয়। বায়ু দূষণ প্রতিরোধ এবং সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে এই দিনটি পালিত হয়। আসুন জেনে নিই এই দিনটির গুরুত্ব এবং কেন পালিত হয়।
ইতিহাস কি?
১৯৮৪ সালে ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডিতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। এই ট্র্যাজেডির কারণে হাজার হাজার মানুষকে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে, আবার বহু মানুষকে বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে। এই দিনটিকে স্মরণ করতে এবং দূষণ বন্ধে মানুষকে সচেতন করতে এই দিনটিকে জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
এই দিনের গুরুত্ব কি?
দিন দিন দূষণের মাত্রা বাড়ছে, দূষণের মাত্রা এতটাই বেশি যে সারা বিশ্বে এর প্রভাব দেখা যায়। এই দিনটি উদযাপনের গুরুত্ব এবং উদ্দেশ্য হল বায়ু, মাটি, শব্দ দূষণ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের দূষণের কারণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। আমরা খোলা হাওয়ার শ্বাস নিই এবং এর কারণে আমরা বেঁচে আছি, তাই এটি গুরুত্বপূর্ণ যে ক্রমবর্ধমান দূষণ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা এবং এর মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করা যেতে পারে।
থিম কি?
প্রতি বছরের মতো এই বছরও একটি পরিচ্ছন্ন ও পৃথিবীকে আরও স্বাস্থ্যকর করার অঙ্গিকার নিয়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস। এই অঙ্গিকারের মাধ্যমে মানুষকে প্রকৃতি সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে যাতে আগামী সময়ে আমরা আমাদের পরিবেশকে বাঁচিয়ে উন্নত জীবনযাপন করতে পারি।