সংক্ষিপ্ত

চোখ দেখলেই বোঝা যাবে ভবিষ্যতে ডিমেনশিয়া হবে কি না! আপনার মধ্যেও এই লক্ষণ নেই তো?

' সায়েন্টিফিক রিপোর্টস ' জার্নালে প্রকাশিত, চোখের একটি বিশেষ পরীক্ষাতেই ধরা পড়বে ডিমেনশিয়া হতে পারে কিনা। চোখের পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে কোনও ক্রনিক অসুখ বাসা বাঁধল কি না তারও খোঁজ পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষাকে নির্দ্বিধায় অবহেলা করলে যে রোগ হয়তো ১০ - ১২ বছর আগে নির্ণয় করে নির্মূল করতে পারতেন। এখন তার ঝুঁকিও বেশি এবং রোগ ঠিক হওয়ার সম্ভাবনাও কম। এই নিয়ে গোটা বছর ত্রিশ গবেষণা করে সাম্প্রতিক ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানীর দাবি করেন, একজন ব্যক্তি ভবিষ্যতে স্মৃতিনাশের শিকার হবেন কি না, তা নাকি তাঁর চোখ দেখে বলে দেওয়া সম্ভব।

‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ জার্নালে প্রকাশিত এই খবরে জানা যায়, গবেষণায় ৮,৬২৩ জন সুস্থ মানুষের উপর পরীক্ষা করা হয় বেশ কিছু যাবৎ বছর ধরে। গবেষণার শেষে, এদের মধ্যে ৫৩৭ জন অংশগ্রহণকারীর ডিমেনশিয়া ধরা পরে। এর থেকে আমরা এই রোগ নির্ণয়ের আগের লক্ষণগুলি খেয়াল করে আলঝাইমার বা ডিমনেশিয়ায় শিকার হবেন কিনা ওই ব্যক্তি তা নির্ধারণ করতে পারি।

গবেষণার শুরুতে, অংশগ্রহণকারীদের একটি চোখের সংবেদনশীলতা পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষার জন্য, একটি চলমান বিন্দু ত্রিভুজ তৈরি করলে তা দেখা মাত্রই তাদের একটি বোতাম টিপতে হয়েছিল। যাদের ডিমেনশিয়া আছে তারা ডিমেনশিয়া ছাড়া সুস্থ্য স্বাভাবিক লোকেদের তুলনায় স্ক্রিনে এই ত্রিভুজটি দেখতে অনেক দেরি করেন।

কেন এমন হল?

দৃষ্টি সমস্যা স্মৃতিনাশের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে কারণ আলঝাইমার বা ডিমনেশিয়ার মতো রোগের সাথে যুক্ত বিষাক্ত অ্যামাইলয়েড প্লাকসমূহ। যা প্রথমে চোখের সাথে মস্তস্কের স্নায়ু দ্বারা সম্পর্কিত মস্তিষ্কের অংশগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। রোগ যত বতীদফ পাবে সাথে সাথে স্মৃতিশক্তির সাথে সম্পর্কিত মস্তিষ্কের অংশগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই প্রায় ত্রিশ বছরের গবেষণার পরে আলঝাইমার বা ডিমনেশিয়ার মতো রোগ চিহ্নতকরণ করার উপায় বার করা গেছে মাত্র চক্ষু পরীক্ষার মাধ্যমে।

আলঝাইমার রোগে চাক্ষুষ প্রক্রিয়াকরণের আরও বেশ কিছু দিক প্রভাবিত হয়, যেমন বস্তুর রূপরেখা দেখার ক্ষমতা (পরিবর্ত সংবেদনশীলতা) এবং নির্দিষ্ট রঙের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা কারণ ডিমেনশিয়ার প্রথম দিকে নীল-সবুজ বর্ণালী দেখার ক্ষমতা প্রভাবিত হয়, এবং এগুলি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে তা বুঝতে না পেরে।