সংক্ষিপ্ত
শরীরের এনার্জি বাড়াতে গিয়ে কীভাবে যে ক্ষতি করে ফেলছেন অজান্তেই তা হয়তো নিজেরাও টের পাচ্ছেন না। কফিতে থাকা অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে হাজারো সমস্যার সৃষ্টি করে।
শীত পড়তে না পড়তেই কফি খাওয়ার প্রবণতা যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায় অনেকেরই। বেশ কয়েকদিন ধরে ঠান্ডা যেভাবে পড়ছে তা যেন আরও বেড়েছে চড়চড়িয়ে। সময় পেলেই কফিতে চুমুক দিচ্ছেন। দিনের শেষে কতবার কফি পান করছেন তার হদিশও কেউ রাখেন না। ব্ল্যাক হোক কিংবা হোয়াইট কফি খেতে অনেকেই ভীষণ ভালবাসেন। এবং কফি যেন অনেকেরই নেশার মতোন কাজ করে। কাজ করতে করতে কখন যে আট-দশ কাপ কপি পান করে ফেলেছেন তা টের পান নিজেরাই। শরীরের এনার্জি বাড়াতে গিয়ে কীভাবে যে ক্ষতি করে ফেলছেন অজান্তেই তা হয়তো নিজেরাও টের পাচ্ছেন না। কফিতে থাকা অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে হাজারো সমস্যার সৃষ্টি করে। কোন সময় কফি খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী, জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মতামত।
কফি খেতে ভালবাসেন বলেই অনেকবার করে কফি খেয়ে নিচ্ছেন এটা নিয়মিত চলতে থাকলে চরম বিপদে পড়তে পারেন আপনি। শরীরের এনার্জি বাড়াতে গিয়ে কীভাবে যে ক্ষতি করে ফেলছেন অজান্তেই তা হয়তো নিজেরাও টের পাচ্ছেন না। কফিতে থাকা অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে হাজারো সমস্যার সৃষ্টি করে। কোন সময় কফি খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী তা জানতে হবে সবার আগে। সকালবেলা অনেকেরই কফি খাওয়ার অভ্যেস রয়েছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, এতে খুব বেশি উপকার নেই।
সকালবেলা শরীরের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কটিসেলের মাত্রা সবথেকে বেশি থাকে। এবং যা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা, মেটাবলিজম সহ একাধিক প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই সকালবেলা ক্যাফেইন শরীরে গেলে কটিসেলের উৎপাদন ব্যাহত হয়, যার ফলে শরীরের সমস্যা হতে পারে। বেলা বাড়ার পর শরীরে কটিসেলের মাত্রা কমতে থাকে। এরপর থেকে দিনের যে কোনও সময় কফি পান করার জন্য আদর্শ। তবে সকালের প্রথম খাবারে কিংবা খালি পেটে কফি না খাওয়াই শরীরের জন্য ভাল। কফির পরিমাণ নিয়েও সচেতন হোন। অতিরিক্ত কফি যেন প্রতিকাপে না থাকে তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘন ঘন কফি খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তবে দিনের শেষে কফিটা দেরি করে খেলে চলবে না। কারণ কফিতে থাকা ক্যাফেইন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই রাতের বেলা পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের দিকে নজর দিতেই এই অভ্যেস ত্যাগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা, না হলেই নিজের অজান্তেই চরম সমস্যা ডেকে আনবেন শরীরের।