রান্না ঘরে যদি কোন ভাবে গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে সেক্ষেত্রে কয়েকটি সহজ উপায় এবং উপস্থিত বুদ্ধির সাথে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারলে এই সমস্যা থেকে সহজেই নিস্তার করা সম্ভব।

রান্নাঘরে গ্যাস লিক করছে কিনা তা বোঝার জন্য গন্ধ, শব্দ, সরঞ্জামের অবস্থা এবং স্যাঁতসেঁতে ভাব এই ৫টি লক্ষণ খেয়াল রাখুন। গ্যাস লিক হলে দ্রুত দরজা-জানালা খুলে দিন, গ্যাস সিলিন্ডারের মূল সুইচ বন্ধ করুন এবং আগুন-সংক্রান্ত কোনো কাজ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে জরুরি পরিষেবাতে খবর দিন।

** গ্যাস লিক হওয়ার ৫টি লক্ষণ

* অস্বাভাবিক গন্ধ: একটি তীব্র বা টক গন্ধ অনুভূত হতে পারে, যা গ্যাসের সাথে মেশানো রাসায়নিকের কারণে হয়। এটি গ্যাস লিক হওয়ার একটি প্রধান লক্ষণ।

* হিস হিস শব্দ: সিলিন্ডার বা পাইপলাইন থেকে একটি হিস হিস শব্দ শুনতে পেলে বুঝবেন গ্যাস লিক হচ্ছে।

* সরঞ্জাম এবং পাইপলাইনের অবস্থা: পুরোনো বা ক্ষতিগ্রস্ত সরঞ্জামের মধ্যে ফাটল, ছিদ্র বা ক্ষয় দেখতে পেলে তা গ্যাস লিক হওয়ার কারণ হতে পারে।

* অস্বাভাবিকভাবে স্যাঁতসেঁতে বা শুকনো দাগ: গ্যাস লিক হওয়ার কারণে সিলিন্ডারের চারপাশে বা পাইপের সংযোগস্থলে জলীয় বাষ্প বা স্যাঁতসেঁতে ভাব দেখা যেতে পারে।

* ছোট বুদবুদ: সিলিন্ডারের মুখে কিছু জল নিয়ে বুদবুদ হলে বুঝতে হবে গ্যাস লিক হচ্ছে।

** আগুনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন

দরজা-জানালা খুলে দিন: ঘর থেকে গ্যাস বেরিয়ে যাওয়ার জন্য সমস্ত দরজা এবং জানালা খুলে দিন।

সুইচ বন্ধ করুন: গ্যাস সিলিন্ডারের মূল সুইচটি বন্ধ করে দিন। এটি সাধারণত গ্যাস মিটারের কাছে থাকে এবং একটি হাতল থাকে যা ৯০ ডিগ্রি ঘোরানো যায়।

কোনো আগুন বা স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি করবেন না: ম্যাচ, লাইটার বা কোনো বৈদ্যুতিক সুইচ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ একটি ছোট স্ফুলিঙ্গও বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

জরুরী সেবায় যোগাযোগ করুন: যদি গন্ধ খুব তীব্র হয়, তবে ভবন ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে স্থানীয় গ্যাস কোম্পানিকে খবর দিন।

নিরাপদ স্থানে যান: যদি গ্যাস লিক হয়, তবে অবিলম্বে ঘর থেকে বেরিয়ে যান এবং বহুতল ভবনের ক্ষেত্রে, বিল্ডিং খালি করুন এবং তারপরই যোগাযোগ করুন।