সংক্ষিপ্ত

টিবি শুধু চিকিৎসা করলেই হবে না, তার সঙ্গে মেনে চলতে হবে এই নিয়মগুলিও

টিবি একটি অত্যন্ত গুরুতর রোগ। যদি এর সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হয়, তবে এটি জনহানিকর হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সারাবিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ২২ লক্ষ মানুষ টিবির শিকার হয় এবং ১৮ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে। এই পরিসংখ্যানগুলি স্পষ্টভাবে দেখায় যে চিকিৎসার পরেও বর্তমানে টিবি একটি বিপজ্জনক রোগ। এর সবচেয়ে বেশি মামলা ভারতে আসে। যদিও ভারতে টিবি রোগীদের সংখ্যা প্রতি বছর কমছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত এর পূর্ণ নিধনের দিকে অগ্রসর হতে পারেনি।

আসলে, টিবির চিকিৎসার পর রোগীরা মনে করেন যে তারা সুস্থ হয়ে উঠেছে, যা তাদের সবচেয়ে বড় ভুল। এশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ও শ্বাসপ্রশ্বাস, সংকটকালীন যত্ন এবং ঘুমের চিকিৎসার প্রধান, ড. মানব মানচাঁদা জানাচ্ছেন যে টিবি রোগীদের চিকিৎসার পরও কোনও ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত?

টিবির চিকিৎসার পর এই সতর্কতাগুলি মেনে চলুন: টিবির পরীক্ষা চালিয়ে যান: টিবির চিকিৎসা শেষ হওয়ার পরও নিশ্চিত করুন যে আপনি ডাক্তারের নির্দেশিত সম্পূর্ণ ওষুধের কোর্স নিয়েছেন। অসমাপ্ত চিকিৎসা বা ওষুধ বাদ দেওয়া আবার টিবির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। চিকিৎসার পরও প্রতি তিন মাসে আপনার টিবির পরীক্ষা করান। এটা টিবি সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়াতে সাহায্য করবে। এটি প্রতিটি রোগীর জন্য জরুরি। ডায়েট উন্নত করুন: আপনার খাদ্যে সবুজ শাকসবজি, ফল, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করুন যাতে আপনার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী থাকে।

নিয়মিত ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাড়ায়, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে রক্ষা করে। অতিরিক্ত ক্লান্তি এড়িয়ে চলুন। যথাযথ ঘুম এবং বিশ্রাম শরীরের সতেজতার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

মাস্ক ব্যবহার করুন: আপনার চারপাশে পরিষ্কারতা বজায় রাখুন। ভিড়ের জায়গা বা দূষিত বাতাসের স্থানে যেতে এড়িয়ে চলুন। মাস্ক ব্যবহার করুন, বিশেষ করে যদি আপনি এমন পরিবেশে থাকেন যেখানে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। মদ এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকুন: চিকিৎসার সময় এবং পরে মদ্যের ব্যবহার এবং ধূমপান এড়ানো উচিত, কারণ এই অভ্যাসগুলি লিভার এবং ফুসফুসে ক্ষতি করতে পারে, যা টিবির পুনরায় সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।

ইতিবাচক চিন্তা বজায় রাখুন: টিবির চিকিৎসা মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। ইতিবাচক চিন্তা বজায় রাখুন, পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং প্রয়োজন হলে পেশাদার সহায়তা নিন। চিকিৎসার সময় এবং পরে নিয়মিতভাবে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগে থাকুন এবং তাঁর পরামর্শ মেনে চলুন।