২০২৭ সালে, ২ আগস্ট, এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে বিশ্ব। একবিংশ শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে, তবে কোথা থেকে? কতক্ষণের জন্য হবে এই সূর্যগ্রহণ? জানতে হলে চোখ রাখুন এশিয়ানেটের পাতায়।
২ আগস্ট ২০২৭ এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছি আমরা। একবিংশ শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে আর একটা বছর পরেই। মেট্রো সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি ১৯৯১ থেকে ২১১৪ সালের মধ্যে ভূমি থেকে দৃশ্যমান দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের মধ্যে একটি হবে। যা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে আলোড়ন তুলবে।
বিরল মহাজাগতিক ঘটনা : ২০২৭ সালের সূর্যগ্রহণ
২০২৭ সালের এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে চাঁদ সম্পূর্ণভাবে সূর্যকে ঢেকে ফেলবে, যার ফলে সৃষ্টি হবে “টোটালিটি” নামে একটি মুহূর্ত। এই মুহূর্তে সূর্যের আলো চাঁদের জন্য বাধা পাবে, টোটালিটির একটি রেখা ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে সরে যাবে দিনের আকাশে, ফলে কিছুক্ষণের জন্য নেমে আসবে ঘন অন্ধকার, যা স্থায়ী হবে প্রায় মিনিট পাঁচেকেরও বেশি সময়।
রয়েল মিউজিয়ামস গ্রিনউইচের সিনিয়র জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্রেগ ব্রাউন জানিয়েছেন, এই গ্রহণটি ব্যতিক্রমী দীর্ঘ হবে এবং ১৯৯১ সাল থেকে ২১১৪ সালের মধ্যে ভূমি থেকে দৃশ্যমান সূর্যগ্রহণগুলির মধ্যে এটি অন্যতম দীর্ঘ। সাধারণত, পূর্ণগ্রাস গ্রহণ কয়েক সেকেন্ড থেকে ৭.৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়, যার দৈর্ঘ্য নির্ভর করে চাঁদ ও সূর্যের আপাত আকারের তারতম্যের উপর। কারণ চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে এবং পৃথিবীর সূর্যের চারপাশে কক্ষপথে পৃথিবী থেকে তাদের দূরত্ব সামান্য পরিবর্তিত হয়। কিন্তু এবার ঠিক ৬ মিনিট ২৩ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হবে এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।
সূর্যগ্রহণ কীভাবে ঘটে?
সূর্যগ্রহণ ঘটে যখন চাঁদ পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে অবস্থান নেয় এবং সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি হয়। এটি আংশিক বা পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হতে পারে তবে কেবল অমাবস্যার সময় ঘটে। তবে এটি খুবই বিরল, কারণ চাঁদের কক্ষপথ হালকা হেলে থাকে, ফলে বেশিরভাগ সময় তা সূর্যের নিচে বা উপরে দিয়ে চলে যায়।
কোথায় কোথায় দৃশ্যমান হবে?
এই ঘটনাটি মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, মিশর, সুদান, সৌদি আরব, ইয়েমেন এবং সোমালিয়া সহ দেশগুলিতে দৃশ্যমান হবে। এই অঞ্চলগুলোতে বসবাসকারী প্রায় ৮৯ মিলিয়ন মানুষ সরাসরি এই চমকপ্রদ ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে পারবে। তবে দুঃখজনকভাবে, ভারত থেকে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না।
