সংক্ষিপ্ত

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় জাপানের মানুষের বয়স বেশি। গড় আয়ু পুরুষদের জন্য ৮০ এবং মহিলাদের জন্য ৮৭। এমনকি G7 দেশগুলোর মধ্যেও জাপানিদের আয়ু সবচেয়ে বেশি।

একজন মানুষ যদি তার খাবার-দাবারের প্রতি যত্নবান হয় এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে তাহলে সে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকতে পারে। এই কারণেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় জাপানের মানুষের বয়স বেশি। গড় আয়ু পুরুষদের জন্য ৮০ এবং মহিলাদের জন্য ৮৭। এমনকি G7 দেশগুলোর মধ্যেও জাপানিদের আয়ু সবচেয়ে বেশি। জাপানে বিশেষ ডায়েট গত কয়েক বছর ধরে বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

সাধারণত জাপানিরা ভাত, শাকসবজি ও মাছ খায়। এছাড়াও, এরা সয়া এবং সামুদ্রিক শৈবালও খান, যা তাদের শরীরে ভিটামিন, খনিজ এবং উপকারী ফাইটোকেমিক্যালের অভাব পূরণ করে। জাপানে খাবার বেশির ভাগই ভাপিয়ে খাওয়া হয়। আমাদের মত তেল ও মশলায় কষিয়ে একদম নয়।

জাপানে কফি এবং চায়ের ব্যবহার কম-

জাপানে গাঁজন, গ্রিলিং, রোস্টিং, শ্যালো ফ্রাইং এবং ভাপানো রান্নাই বেশি চলে জাপানে। শুধু তাই নয়, জাপানিরা তাদের খাবারের সঙ্গে অন্তত এক কাপ স্যুপ পান করতে পছন্দ করে। জাপানিরা কম কফি এবং বেশি চা পান করে। এমন অবস্থায় কেউ চা পান করলেও চায়ে দুধ ব্যবহার করেন না। তিনি চায়ে শুধুমাত্র সবুজ পাতা ব্যবহার করেন যাতে ক্লোরোফিল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্ষত থাকে।

জাপানিরা গণপরিবহন ব্যবহার করে-

জাপানের লোকেরা যাতায়াতের জন্য এবং বেশি হাঁটার জন্য গণপরিবহন ব্যবহার করে। এখানে মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে না থেকে দাঁড়িয়ে কাজ করে। এর সঙ্গে সেখানে দিন শুরু হয় রাজিও তাইসো এক ধরনের ব্যায়াম দিয়ে।

জাপানিরা পরিচ্ছন্নতার যত্ন নেয়-

জাপানিরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার খুব যত্ন নেয়। তাদের সংস্কৃতিতে শিন্টোইজমের ঐতিহ্য রয়েছে, যার লক্ষ্য বিশুদ্ধ থাকা। জাপানিরা দিনে দুবার স্নান করে। ঘরের পাশাপাশি বাইরের পরিচ্ছন্নতারও খেয়াল রাখেন।

জাপানিরা অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খায় না-

জাপানিরা কখনই অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খায় না, তারা সব সময় আয়ুর্বেদিক পদ্ধতির মাধ্যমে নিজেদের চিকিৎসা করে থাকে। এখানকার মানুষ সিগারেট, মদের মতো নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন থেকে দূরে থাকে।