ঘর পরিষ্কারের মতোই নজর দিতে হবে আপনার শৌচালয় পরিষ্কারের উপরেও। তাই প্রত্যেক গৃহস্থের কমপক্ষে সপ্তাহে একবার শৌচালয় পরিষ্কার করা দরকার।
আমরা আমাদের ঘর যতোটা পরিষ্কার রাখি শৌচালয় ততটা নয়। বলা ভালো সারাদিনের শৌচকর্ম করার জায়গাটি সেভাবে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখার নিয়ম সম্পর্কে সচেতন নই। শুধু কমোড বা বেসিন ধুয়ে ফেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না—প্রতিটি কোণ, টাইলস, আয়না, এমনকি পরিষ্কারের উপকরণ ব্যবহারেও সতর্কতা প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাথরুম জীবাণু সংক্রমণের সবচেয়ে সক্রিয় জায়গা, যা থেকে প্রস্রাব সংক্রমণ, ত্বকের সমস্যা, এমনকি শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে। তাই নিয়ম মেনে সঠিকভাবে পরিষ্কার করলেই আপনি এবং আপনার পরিবার থাকবে নিরাপদ।
শৌচালয় জীবাণুমুক্ত করার সঠিক উপায়
১। গ্লাভস পরা আবশ্যক
অনেকেই গ্লাভস ছাড়াই শৌচালয় পরিষ্কার করেন। ফলে আপনি সরাসরি ব্যাকটেরিয়া ও রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসেন, যা আপনারই ক্ষতি করে। তাই শৌচালয় পরিষ্কার শুরুর আগে গ্লাভস পরে নিন এবং শেষে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিয়ে ভুলবেন না।
২। জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন
এবার বেসিন ও কমোডে জীবাণুনাশক ঢেলে ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর স্ক্রাবার দিয়ে ঘষে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে জেদি দাগ ও ব্যাকটেরিয়া দূর হবে।
৩। আয়না পরিষ্কার বাদ নয়
শৌচালয়ের আয়নার ময়লা পরিষ্কার করাও দরকার। এর জন্য ভেজা কাপড় নয়, ওয়েট টিস্যু বা গ্লাস ক্লিনার ব্যবহার কড়াই ভালো। ওয়েট টিস্যু দিয়ে হালকা হাতে আয়নার উপর ঘষে চকচকে করে তুলুন।
৪। টাইলস পরিষ্কার করতেই হবে
অনেকেই বাথরুম টাইলস নিয়মিত পরিষ্কার করেন না, শুধু কোমড আর বেসিন ধুয়েই ছেড়ে দেন - এটি মারাত্মক ভুল। জীবাণুনাশক ব্যবহার করে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ব্রাশ দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে কোমড।
বাথরুমের আনাচে কানাচে জীবাণু বাসা বাঁধে। তাই শুধু মূল জায়গা নয়, প্রত্যেক কোণ পরিষ্কার করতে হবে।
