পর্যাপ্ত ঘুম শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। রাত হলেই দস্যিপনা বাড়ে, শিশুকে ঘুম পাড়াতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি

রাত বাড়ার সাথে সাথে শিশুর দস্যিপনাও বাড়তে থাকে। সারাদিন স্কুল, পড়াশোনা, হুড়োহুড়ির করেও যেন রাতে এদের দস্যিপনা কমেনা। অথচ তাড়াতাড়ি না ঘুমালে পরের দিন সকালে স্কুল যাওয়ায় সমস্যা। শরীর ও মন দুই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চিন্তিত ও ব্যতিব্যস্ত হতে হবে পরিবারের সকলকে।

চিকিৎসকদের মতে, ৫ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুর জন্যে দৈনিক অন্তত ৮–১০ ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্য। ঠিকঠাক ঘুম না হলে, শিশুর বিকাশ ব্যাহত হয়, মনোযোগ কমে, আচরণে চঞ্চলতা দেখা দেয়। তবে কিছু সহজ অভ্যাস আর রুটিনের মাধ্যমে খুদের ঘুমের সময়কে স্বাভাবিক করা সম্ভব।

১। অভ্যাস গড়ে তুলুন

মানুষ অভ্যাসের দাস। তাইখুদের একটি রুটিন তৈরির চেষ্টা করুন। নির্দিষ্ট সময় খাওয়ান, ঘুম পাড়ান। রোজ রাতে ঘড়ির সময় ধরে শোওয়ার ঘরে নিয়ে যান। ছুটির দিন, বেড়াতে গেলে কিংবা অনুষ্ঠান থাকলে সে নিয়ম অবশ্য ভাঙতেই পারেন।

২। সময়মতো রাতের খাবার

ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ১ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন বাচ্চাকেও। ভরা পেটে ঘুম আসা সহজ হয়, আবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শোয়া ঠিক নয়।

৩। ঘুমোতে যাওয়ার আগে স্বাস্থ্যবিধি

খাবারের পর দাঁত মাজা অত্যন্ত জরুরি। রাতে দাঁত না মাজলে ক্যাভিটি, দাঁতের সমস্যা বাড়ে। এছাড়াও এই অভ্যাস মস্তিষ্কর কাছে ঘুমোনোর সংকেত হিসেবেও কাজ করে।

৪। পোশাক বদলান

গ্রীষ্মকালে হালকা স্নান বা ভেজা তোয়ালে দিয়ে বাচ্চার গা মুছে দিন। শীতে শুধু পোশাক বদলালেই যথেষ্ট। এতে শিশুর শরীর আর মন দু’টোই ঠান্ডা ও ফ্রেশ হবে।

৫। ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্রিমটাইম নয়

ঘুমোনোর আগে মোবাইল বা টিভি একেবারেই নয়। তার বদলে গল্পের বই দিন। সে নিজে পড়তে পারলে পড়ুক, না পারলে আপনি গল্প বলে শোনান। এতে বাচ্চার শব্দভাণ্ডারঅ বাড়ে, মন শান্ত হয়।

৬। Soft Music শোনান

কখনও কখনও মৃদু শ্রুতি মধুর গান বা শোনাতে পারেন ঘুমোতে যাওয়ার আগে। সফট মিউজিক শিশুকে সহজে ঘুম পাড়ায়।

৭। আলো নিভিয়ে আরামদায়ক ঘর

শোওয়ার ঘর হালকা আলোয় বা অন্ধকারে রাখুন। তীব্র আলো শিশুর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

৮। সারাদিনের আলোচনা

বিছানায় শুইয়ে শিশুকে জড়িয়ে ধরে দিনভর তার কীর্তি-কাণ্ড নিয়ে কথা বলুন। কোন কাজটা সে খুব ভাল করেছে বা কোনটা আর না করা উচিত, তা আলতোভাবে বোঝান। ভালোবাসার আলাপ আর স্পর্শেই ঘুম নামবে চোখে।

৯। গল্পের জাদু

গল্প করতে করতে মায়ের আলতো স্পর্শে খুদে ঘুমোতে বাধ্য।