শিশুর আম্বিলিকাল কর্ডের রয়েছে আশ্চর্য কিছু গুরুত্ব! জানলে চমকে যাবেন
শিশুর আম্বিলিকাল কর্ডের রয়েছে আশ্চর্য কিছু গুরুত্ব! জানলে চমকে যাবেন
- FB
- TW
- Linkdin
)
গ্রামে শিশুদের নাভির কর্ড দিয়ে তাবিজ বানিয়ে পরানো হত। নবজাতকদের হলুদ গুঁড়ো লাগানো হত। এগুলো এমনি এমনি করা হত না। এর পেছনে বিশেষ কারণ ছিল। হলুদ শিশুর শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এটাকে ছোট ছোট টুকরো করে শিশুর কোমরে, হাতে তাবিজের মতো বেঁধে দিলে খিঁচুনি রোগ প্রতিরোধ করা যায় বলে পূর্বপুরুষদের বিশ্বাস ছিল। বুক জ্বালা, বদহজম, পেট ফাঁপা, পেট ফুলে যাওয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি সমস্যা প্রতিরোধে হলুদ উপকারী। ঠিক তেমনি শিশুর নাভির কর্ড দিয়ে তাবিজ বানানো হত। এই পোস্টে নাভির কর্ড তাবিজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
নবজাতকের পেট ভালো করে দেখলে বোঝা যায়। তাদের পেটে কিছুটা নাভির কর্ড লেগে থাকে। সময়ের সাথে সাথে এটি শুকিয়ে ঝরে যায়। এই শুকনো নাভির কর্ড তাবিজে রাখা হয়। এটিকে গলায়, কোমরে সুতোয় বেঁধে দেওয়া হয়। কেউ কেউ নাভির কর্ড শুকিয়ে গুঁড়ো করে তাবিজের ভিতরে রেখে দেয়। কেন এটা করা হয় জানেন?
শিশু বড় হওয়ার পর কোনো মারাত্মক রোগ হলে তাবিজের ভিতর রাখা নাভির কর্ড বের করে গুঁড়ো করে খাওয়ানো হত। এতে রোগ সেরে যায় বলে পূর্বপুরুষদের বিশ্বাস ছিল। পরে এটাকে কুসংস্কার বলে অনেকে তাবিজ বানানো বন্ধ করে দেয়। তবে এখনও কেউ কেউ শিশুকে নাভির কর্ড তাবিজ পরায়।
প্রতিটি শিশুর কর্ডের দৈর্ঘ্য আলাদা হয়। গড়ে ২০ থেকে ২৪ ইঞ্চি নাভির কর্ড থাকে। তবে কিছু শিশুর এর থেকেও বেশি লম্বা হয়।
কিছু গবেষক বলছেন যে স্নায়বিক রোগ, টিস্যু ক্ষতি ইত্যাদি রক্তের রোগ সহ অনেক রোগের চিকিৎসায় নাভির কর্ড স্টেম সেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এ বিষয়ে গবেষকরা গবেষণাও করছেন।
শিশু বড় হওয়ার পর তাদের ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ হলে নাভির কর্ডে থাকা স্টেম সেল দিয়ে চিকিৎসা করা যায় বলে চিকিৎসাশাস্ত্রে বলা হয়। নবজাতকের নাভির কর্ডে থাকা নাভির কর্ড রক্ত (Umbilical cord blood) প্রচুর স্টেম সেল ধারণ করে। এ থেকে নতুন শরীরের অঙ্গ তৈরি করা যায়। তাই নবজাতকের নাভির কর্ড থেকে স্টেম সেল সংগ্রহ করে কিছু হাসপাতালে সংরক্ষণ করা হয়। এর মাধ্যমে রক্তের অনেক রোগ সারানো যায় বলে বলা হয়।
এটাই নাভির কর্ডের মাহাত্ম্য এবং তাবিজে রাখার পেছনের কারণ। বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে নাভির কর্ড সংরক্ষণ করা হয়। নবজাতকের নাভির কর্ড সংগ্রহ করার জন্য অভিভাবকদের অনুমতি নেওয়া হয়। এর জন্য আলাদা টাকা দিতে হয়।