ফ্রিজে কলা রাখ কি আদৌ ঠিক? অজান্তে কোনও ক্ষতি এড়াতে অবশ্যই জেনে নিন
ফ্রিজে কলা রাখ কি আদৌ ঠিক? অজান্তে কোনও ক্ষতি এড়াতে অবশ্যই জেনে নিন
- FB
- TW
- Linkdin
সব ঋতুতেই বাজারে কলা পাওয়া যায়। এই ফলগুলি সস্তা হলেও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এই ফলগুলি খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়। তবে অনেকেই এই ফলগুলি ডজন ডজন কিনে নষ্ট না হওয়ার জন্য ফ্রিজে রেখে দেন। কিন্তু এভাবে ফ্রিজে রাখলে কী হয় জানেন?
কলা একটি আরামদায়ক ফল। এগুলি মিষ্টি এবং সুস্বাদু। এই ফলে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই ফলগুলি খেলে ওজন কমানো থেকে শুরু করে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ পর্যন্ত অনেক উপকার পাওয়া যায়।
কলায় অনেক ধরণের পুষ্টি উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকে। নিয়মিত এগুলি খেলে আমরা অনেক স্বাস্থ্য উপকার পাই। এই ফলটি আমাদের শরীরের জন্য কীভাবে উপকারী?
১. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়।
২. এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। অর্থাৎ পুরোপুরি পাকা কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. কলা খেলে হৃৎপিণ্ড, কিডনি এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
৪. এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এই ফলটি খেলে পেট ভরা অনুভূতি হয়। ফলে আপনি অতিরিক্ত খেতে পারবেন না।
৫. কলা ব্যায়ামের পর শরীরকে সুস্থ করতে সাহায্য করে।
কলা কি ফ্রিজে রাখা যায়?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কলায় অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকলেও, এগুলি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা নির্ভর করে এগুলি সংরক্ষণ করার পদ্ধতির উপর। আসলে কলা একটি উষ্ণমণ্ডলীয় ফল। তাই এগুলি উচ্চ তাপমাত্রায় সংবেদনশীল। অর্থাৎ এগুলিকে অতিরিক্ত শীতল করলে পাকা, এনজাইমের কার্যকলাপ, স্বাদ এবং এর পুষ্টিগুণে পরিবর্তন আসে।
কলার খোসা কালো হয়ে গেলে ফ্রিজে রাখলে ফলটি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তবে কাঁচা কলা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে তাড়াতাড়ি পেকে যায়। আপনি যদি কাঁচা কলা ফ্রিজে রাখেন তবে পাকার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
ফ্রিজে কলা রাখলে এর পুষ্টিগুণ কমে যায়। সেইসাথে ফলের মিষ্টিভাব কমে যায়। স্বাদ বদলে যায়। ফলের স্বাভাবিক আকারও প্রভাবিত হয়। ফ্রিজে রাখা কলা একটু তিতা স্বাদের হয়। এবং খুব নরম হয়ে যায়।
এছাড়াও এই ফলগুলি তাদের আসল রঙও হারায়। এর ফলে এগুলি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তাই কাঁচা কলা ফ্রিজে রাখা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।