কেন হাত অসম্পূর্ণ জগন্নাথ দেবের! এই অজানা কাহিনির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আসল রহস্য
জগন্নাথ রথযাত্রা ২০২৫: এই বছর ২৭ জুন উড়িষ্যার পুরীতে ভগবান জগন্নাথের বিখ্যাত রথযাত্রা বের হবে। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, এখানে ভগবান জগন্নাথের অসম্পূর্ণ মূর্তির পূজা করা হয়, যার শুধু মাথা আছে, হাত-পা নেই। এই ঐতিহ্যের পেছনে এক গভীর রহস্য লুকিয়ে আছে, যা সম্পর্কে খুব কম লোকই জানেন। এই ঐতিহ্যের সাথে জড়িত একটি কাহিনীও প্রচলিত আছে, যা নিম্নরূপ…
কেন অসম্পূর্ণ ভগবান জগন্নাথের মূর্তি?
প্রচলিত কাহিনী অনুসারে, একসময় মালব দেশে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নর রাজত্ব ছিল। তিনি ভগবান জগন্নাথের পরম ভক্ত ছিলেন। একদিন যখন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন নীলাচল পর্বতে গেলেন, তখন তিনি সেখানে কোন দেবমূর্তি দেখতে পেলেন না। তখনই আকাশবাণী হল যে, শীঘ্রই ভগবান জগন্নাথ মূর্তি রূপে পুনরায় পৃথিবীতে আসবেন। এ কথা শুনে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন খুব খুশি হলেন।
একবার যখন ইন্দ্রদ্যুম্ন পুরীর সমুদ্র সৈকতে হাঁটছিলেন, তখন তিনি সমুদ্রে কাঠের দুটি বিশাল টুকরো দেখতে পেলেন। তিনি ভাবলেন এই কাঠ দিয়েই তিনি ভগবান জগন্নাথের মূর্তি তৈরি করাবেন। দেবতাদের আদেশে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নর কাছে সূত্রধর রূপে এলেন এবং সেই কাঠ দিয়ে ভগবানের মূর্তি তৈরি করার জন্য রাজাকে বললেন। রাজা তাঁর কথা মেনে নিলেন।
সূত্রধর রূপী বিশ্বকর্মা রাজার সামনে শর্ত রাখলেন যে, তিনি ভগবানের মূর্তি একান্তে তৈরি করবেন এবং যদি কেউ সেখানে আসে তবে তিনি অসম্পূর্ণ মূর্তি রেখে সেখান থেকে চলে যাবেন। রাজা তাঁর শর্ত মেনে নিলেন। তারপর বিশ্বকর্মা একান্ত স্থানে মূর্তি তৈরির কাজ শুরু করলেন। একদিন ভুলবশত রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন মূর্তি দেখার উৎসুক্যে তাঁর সাথে দেখা করতে গেলেন।
রাজাকে দেখেই সূত্রধর রূপী বিশ্বকর্মা সেখান থেকে চলে গেলেন এবং ভগবান জগন্নাথের মূর্তি অসম্পূর্ণ রয়ে গেল। তখনই রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন আকাশবাণী শুনতে পেলেন, ‘ভগবান এই রূপেই প্রতিষ্ঠিত হতে চান।’ তখন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন বিশাল মন্দির তৈরি করে ভগবান জগন্নাথের অসম্পূর্ণ মূর্তিটি সেখানে প্রতিষ্ঠা করলেন। তখন থেকে আজ পর্যন্ত ভগবান জগন্নাথের অসম্পূর্ণ মূর্তির পূজা এখানে করা হচ্ছে।
Disclaimer
এই লেখায় যে তথ্য রয়েছে, তা ধর্মগ্রন্থ, পণ্ডিত এবং জ্যোতিষীদের থেকে নেওয়া হয়েছে। আমরা শুধু এই তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম। ব্যবহারকারীরা এই তথ্যগুলিকে শুধুমাত্র তথ্য হিসেবে গ্রহণ করবেন।

