হোটেলের বিছানায় সাদা চাদর পাতা এমনি এমনি তৈরি হওয়া হোটেলের কোনো নিয়ম নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে যথেষ্ট যুক্তি যুক্ত ও মনোস্তাত্বিক কারণ। এই প্রতিবেদনে সাদা চাদরের ইতিহাস জানা যাক।

হোটেলে ঢুকেই চোখে পড়ে ঝকঝকে সাদা চাদর, পরিপাটি বিছানা, সাজানো-গোছানো রুম - আর কী চাই! এইতো বেশ ঘরটা পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন এবং আরামদায়ক। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, কেন সব হোটেলের চাদরই প্রায়শই সাদা রঙের হয়?

এটা এমনি এমনি তৈরি হওয়া হোটেলের কোনো নিয়ম নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে যথেষ্ট যুক্তি যুক্ত ও মনোস্তাত্বিক কারণ। হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে ব্র্যান্ডিং কৌশল, অনেক কিছুর সাথেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই বিষয়টি।

ইতিহাস কী বলছে?

নব্বইয়ের দশকে Marriott International-এর অধীনস্থ Westin Hotels & Resorts-এ প্রথম বিছানায় সাদা চাদর ব্যবহার শুরু হয়। সেই থেকে ধীরে ধীরে পৃথিবীজুড়ে বিছানায় সাদা চাদর পাতা হোটেল ইন্ডাস্ট্রির স্ট্যান্ডার্ড হয়ে দাঁড়ায়।

হোটেলের বিছানায় সাদা চাদর পাতার কারণ

১। পরিচ্ছন্নতা

বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও গিয়ে থাকার কথা উঠলেই সবার আগে পরিচ্ছন্নতা ভাবিয়ে তোলে আমাদের। সাদা রং মানেই পরিষ্কার বলে ধরে নিই আমরা। গ্রাহকদের মনস্তাত্ত্বিক অনুভূতির কথা মাথায় রেখেই হোটেলের বিছানায় সাদা চাদর পাতা হয়। আর তাতে সায় দিয়ে হোটেলের ঘর, বাথরুম সব পরিষ্কার হবে বলে ভেবে নিই আমরা।

২। পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধা

সাদা চাদরে দাগ লাগলে, তা সহজেই চোখে পড়ে। ফলে হোটেলের কর্মীরা তড়িঘড়ি নোংরা চাদর কাচার জন্য পাঠিয়ে দেন। বিশেষ করে দামি হোটেলগুলিতে এই কারণেই বিছানায় পরিষ্কার পরিপাটি করে সাদা চাদর পাতা হয়।

এই একই কারণে হোটেলের তোয়ালেও সাধারণত সাদা হয়। দাগ বসে গেলে ব্লিচ করে নেওয়া যায়, যা রঙিন হলে হয় না।

৩। আর্থিক দিক থেকে লাভজনক

রঙিন চাদরের রং সময়ের সঙ্গে ফিকে হয়ে যায়। কিন্তু সাদা চাদর বারবার ধোয়ার পরও টিকিয়ে রাখা যায়। এক সেট সাদা চাদর বহুদিন ব্যবহার করা সম্ভব, ফলে দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমে যায়।

৪। আভিজাত্যের প্রতীক

বিছনার সাদা চাদর হোটেল ঘরকে উজ্জ্বল, ফ্রেশ এবং লাক্সুরিয়াস করে তোলে। ঘরের ডিজাইন ও আসবাব স্পষ্ট হয়ে চোখে ধরা দেয়। ফলে হোটেলের ঘর দেখে আকৃষ্ট হন গ্রাহকরা।