Joint Pain: জয়েন্টে ব্যথা, লালভাব, ফোলাভাবের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে অনেক সমস্যা শুরু হয়। বিশেষ করে জয়েন্টে ব্যথা, লালভাব এবং ফোলাভাব বেড়ে যায়। যার ফলে হাঁটার এবং বসারও সমস্যা হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে হাই ইউরিক অ্যাসিড থাকার ফলে শরীরে অনেক রোগও দেখা দিতে শুরু করে। হাই পিউরিন সমৃদ্ধ খাদ্যদ্রব্য শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে দেয় যা কিডনি সঠিকভাবে ফিল্টার করে বাইরে ফেলতে ব্যর্থ হয়। এই অবস্থায় পিউরিন জয়েন্টে জমা হতে শুরু করে। যার ফলে কিডনি, জয়েন্টে ব্যথা, আর্থরাইটিস এবং গেঁটে ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওষুধ এবং ঘরোয়া উপায়ও আছে, কিন্তু আজ আমরা আপনাকে হাই ইউরিক অ্যাসিড প্রাকৃতিকভাবে কমানোর সহজ উপায় জানাচ্ছি।

না ওষুধ, না ঘরোয়া উপায়, শুধু কিছু যোগব্যায়াম করার মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। স্বামী রামদেবের কাছে জানুন উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোন কোন যোগব্যায়াম করা উচিত।ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের জন্য যোগত্রিকোণাসন- প্রতিদিন কিছু সময় ত্রিকোণাসন করলে ইউরিক অ্যাসিড কমানো যায়। এর ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং জয়েন্টগুলোর শিথিলতা কমানো যায়। প্রতিদিন এই যোগব্যায়াম করলে জয়েন্টের ব্যথা দূর করা সম্ভব।

ভুজঙ্গাসন- উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডে ভুজঙ্গাসনকেও অসাধারণ বলে মনে করা হয়। কোবরা পোজের অনেক সুবিধা রয়েছে, যেমন এটি শরীরকে নমনীয় করে এবং শরীরকে শক্তিশালী করে। প্রতিদিন ভুজঙ্গাসন করলে ইউরিক অ্যাসিড কমানো সম্ভব। এর ফলে জয়েন্ট পেইন কমানো যায়। এর মাধ্যমে শরীরের জমা বিষাক্ত পদার্থ সহজেই বের হয়ে যায়।শালভাসন- এই যোগাসনকে গ্রাসহপার পোজও বলা হয়। শালভাসন করার মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড কম হয়। এই যোগব্যায়ামটি করার ফলে পাচনতন্ত্রের উন্নতি হয়। শালভাসন করার ফলে শরীরের জমা টক্সিন বের হয়ে যায়। মেটাবলিজমের উন্নতি হয় এবং ইউরিক অ্যাসিড কমে যায়।

পবনমুক্তাসন- পবনমুক্তাসন যোগাসনকে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী মনে করা হয়। প্রতিদিন পবনমুক্তাসন করার মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড কমানো সম্ভব। এর ফলে পাচনতন্ত্র উন্নত হয়। শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে এবং ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সহায়তা করে।

অর্ধ মাত্স্যেন্দ্রাসন- ইউরিক অ্যাসিডের রোগীকে কিছুক্ষণ অর্ধ মাত্স্যেন্দ্রাসন অবশ্যই করতে হবে। এই যোগব্যায়ামটি করার ফলে কিডনি এবং লিভার ভালভাবে কাজ করতে শুরু করে। এটি পাচনকে উন্নত করে এবং শরীরে জমে থাকা খারাপ পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। এর ফলে শরীর ডিটক্স হয়।