সংক্ষিপ্ত
সিপিএসবি সমস্ত রাজ্যকে একক প্লাস্টিক ব্যবহার বর্জ্য করার জন্য নির্দিষ্ট সময় দিয়েছে। তাদের মতে, রাজ্যগুলোর জমা দেওয়া শেষ তথ্যগুলো সবই অসম্পূর্ণ। আর সে কারণেই ফের জাড়ি হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। এবারও জোড় দেওয়া হয়েছে একক প্লাস্টিক বর্জনের জন্য।
প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার অভিযান চলছে বহু বছর ধরে। প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার বন্ধ করে সুস্থ ও দূষণ মুক্ত পরিবেশ গঠনের জন্য প্রতিদিনই শহরের কোথাও না কোথাও অনুষ্ঠিত হয় সভা। সরকারের পক্ষ থেকেও এই বিষয় নেওয়া হয়েছে নানা রকম কর্মসূচি। গঠিত হয়েছে বোর্ড। বহু বছর ধরে চলছে এই সকল কর্মকাণ্ড। তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি ভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। সে কারণে, ফের একবার উদ্যোগী হল CPCB (সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড)।
রাজ্যগুলোকে প্লাস্টিক ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হল। সিপিসিবি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড, প্রায় সমস্ত ই-কমার্স একক ব্যবহারের প্লাস্টিক বিক্রেতা ও ব্যবহারকারীকে সতর্ক করল ফের একবার। উল্লেখ্য, ১২ অগস্ট ২০২১ সালে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। এই নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের আইটেমগুলোর মধ্যে রয়েছে ইয়ারবাড, পতাকা, ক্যান্ডি এবং আইসক্রিম স্টিক, আলংকারিক থার্মোকল, ১০০ মাইক্রোনের কম পুরু পিভিসি ব্যানার, কাপের মতো একাধিক জিনিস।
এদিকে পরিবেশ মন্ত্রক এবং এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট একটি তথ্য প্রকাশ করে। সেখানে উল্লেখ আছে, যে সকল প্লাস্টিক প্যাকেজিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে ৪৩ শতাংশ হল একক ব্যবহার্য প্লাস্টিক। কেন্দ্রীয় দূষণ সংস্থার তথ্য অনুসারে, ভারতে মাথাপিছু ৯.৭ কেজি প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়।
এমাসের শুরুতে জাড়ি হওয়া নির্দেশিকা অনুসারে, সিপিএসবি সমস্ত রাজ্যকে একক প্লাস্টিক ব্যবহার বর্জ্য করার জন্য নির্দিষ্ট সময় দিয়েছে। তাদের মতে, রাজ্যগুলোর জমা দেওয়া শেষ তথ্যগুলো সবই অসম্পূর্ণ। আর সে কারণেই ফের জাড়ি হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। এবারও জোড় দেওয়া হয়েছে একক প্লাস্টিক বর্জনের জন্য।
প্রকাশিত হওয়া পলিসিতে লেখা আছে, পানীয় জলের পাত্র এবং এক লিটারের কম ধারণক্ষমতার জলের বোতল প্যাক করা পরিবর্তে ডিসপোজেবল কাগজের গ্লাস ব্যবহার করার কথা উল্লেখ আছে। প্লাস্টিকের পাত্র ও কাটলারির পরিবর্তে পাতা বা বাঁশ দিয়ে তৈরি জিনিস ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। শস্য, ডাল বা বাডরা থেকেও তৈরি পাত্রও তৈরি করা যেতে পারে। এমনই প্রকাশিত হয়েছে সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড-র প্রকাশিত নির্দেশিকায়।
আরও পড়ুন- স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে Ego-র লড়াই বেড়েই চলেছে, এই কয়টি উপায় সম্পর্ক সুস্থ রাখুন
আরও পড়ুন- আরও বেশি করে সস্তা, গতকালের তুলনায় একলাফে কমল সোনার দাম, রূপোর দামেও চমক
আরও পড়ুন- কেন চৈত্র সংক্রান্তি, এই দিনে বাংলা জুড়ে কী ধরনের পরব এবং উৎসবে মেতে ওঠে মানুষ