সংক্ষিপ্ত
- শীতেই বরফে মোড়া সিমলা দেখার পরিকল্পনা
- একটু অন্যস্বাদের জায়গা বেছে রাখুন
- ঘুরে আসুন লাহুল-স্পিতি
- রইল বিস্তারিত তথ্য
হিমালচ ভ্রমণ মানেই অভিকাংশের মাথায় একটাই নাম উঠে আসে, তা হল সিমলা, কুলু, মানালি। ছয় রাত্রী সাত দিনের এই ট্রিপের তালিকাতে থেকে মণিকরণ, সিমলার সাইট সিন, মানালি কুলুর সাইট সিন ইত্যাদি। কিন্তু একি ছকে না বেড়িয়ে এবার হিমাচলের মানালির কাছে নতুন এই জায়গাটিকে তালিকা ভুক্ত করে রাখুন। নাম লাহুল-স্পিতি। এই জায়গার মধ্যেই পড়ে নাকো-কল্পা-ছিটকুল।
কী দেখবেনঃ হিমাচলের মূলত তিনটি জায়গাকে কেন্দ্র করে ভ্রমণ পরিকল্পনা করা হয়ে থাকে। একদিকে পড়ে সিমলা কুলু মানালি, অন্য দিকে পড়ে কল্পা কিন্নর। এখানেই দেখা মেলে হিড়িম্বা মন্দির ও বশিষ্ঠ মন্দিরের। কিন্নর দর্শণও হয়ে যায়। তবে এই জায়গাটিকে দেখতে গেলে হাতে রাখতে হবে বেশ কয়েকটি দিন। ঝর্ণা ও পাহাড়ে ঘেরা এই জায়গাতে রয়েছে এক মনোরম সৌন্দর্য যা, হিমাচলের এক ভিন্ন রূপ তুলে ধরে। এই জায়গা একটা ট্রিপে দেখতে গেলে সময় লাগবে মোটের ওপর ২০ দিন। কিন্তু তা যদি ভেঙে নেওয়া যায় তবে সাত দিনই যথেষ্ট। এখানেই রয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত পোস্ট অফিস। সঙ্গে সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত গ্রামও। শীতের সময় পুরো জায়গা ঢেকে যায় বরফে। তবে যদি পাহাড়ের রঙ, রূপ, উপভোগ করতে হয় তবে এই জায়গাকে এক কথায় দশে দশ দিতেই হয়।
যাওয়ার সঠিক সময়ঃ এখানে দুভাবে আসা যেতে পারে। একটি রাস্তা হল সিমলা হয়ে, অন্যটি হল রোটাং পাস হয়ে। রোটাং হয়ে যেতে হলে যেতে হতে গ্রীষ্মে। আর যদি সিমলা হয়ে যেতে হয় তবে ঠাণ্ডার সময়ও আসা যায় এই জায়গাতে। তাপমাত্রা এই সময় থাকে -১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি।
কীভাবে যাবেনঃ মানালি থেকে ঢুকে সিমলা হয়ে বেড়তে হবে এই ট্রিপটি করতে গেলে। বিমানপথে পৌঁছে যেতে হবে চন্ডিগর। কিংবা রেলপথে যেতে হবে কালকা। সেখান থেকে গাড়ি করে মানালি। মানালিতে এক বা দুরাত থেকে বেড়িয়ে পড়তে হবে কল্পার উদ্দেশ্যে। ফেরার পথও এক। সিমলা হয়ে ফিরতে হবে চন্ডিগরে।
কত খরচঃ হিমাচল খানিকটা খরচ সাপেক্ষ জায়গা। যার ফলে মাথাপিছু ২৫০০০-৩০০০০ টাকা ধরে রাখাই প্রয়োজন। এরপর অতিরিক্ত বিমানপথ ও রেল পথের খরচ যোগ হয়ে যায়। গাড়ি ভাড়া দিন হিসেবে নেওয়া হয়। শীতের সময় আসলে খরচ বেড়ে যায় আরও কিছুটা।