সংক্ষিপ্ত

সন্তানদের নিঃশর্ত ভালবাসা এবং সুরক্ষার অনুভূতি দেওয়ার মাধ্যমে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যায়। প্রতিদিন কিছু বিশেষ কথা বলে সন্তানদের মধ্যে ইতিবাচকতা এবং ভালবাসা তৈরি করা যায়। 

প্রতিটি অভিভাবক তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে সন্তানদের লালন-পালন করেন। সন্তানের যত্ন নেওয়া, শিক্ষা দেওয়া এবং ভালবাসা প্রকাশ করার পদ্ধতি বিভিন্ন রকমের হতে পারে। সন্তানের আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক শক্তি তার লালন-পালনের উপর নির্ভর করে। যখন আপনি আপনার সন্তানকে নিঃশর্ত ভালবাসা এবং সুরক্ষার অনুভূতি দেন, তখন সে আত্মবিশ্বাস এবং সাহসের সাথে বিশ্বের মুখোমুখি হয়। যদি আপনি আপনার সন্তানকে শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে চান, তাহলে প্রতিদিন তার সাথে এই কথাগুলো অবশ্যই বলুন। এর ফলে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং তার জীবনে ইতিবাচকতা এবং ভালবাসার পরিমাণ বাড়বে।

View post on Instagram
 

১.“আমি খুব ভাগ্যবান যে আমি তোমার মা।”

  • এই বাক্যটি সন্তানকে আত্মবিশ্বাস দেয় যে সে আপনার জীবনে খুবই বিশেষ এবং অমূল্য।
  • এর ফলে সন্তান নিজের সম্পর্কে গর্বিত বোধ করে এবং সে নিজেকে ভালবাসা এবং সম্মানের যোগ্য মনে করে। 

২. “তুমি আমার জন্য অনেক বড় ধন, আর আমি সবসময় তোমাকে আগলে রাখব।”

  • আপনার সন্তান আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ, এটা তাকে বলা তাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে।
  • এর ফলে সন্তানের মধ্যে সুরক্ষা এবং স্থিতিশীলতার অনুভূতি বৃদ্ধি পায়।
  • সে সম্পর্কের মধ্যে মিষ্টি এবং ভালবাসার সাথে আচরণ করতে শেখে।

৩. “আমি তোমাকে সবসময় নিঃশর্ত ভালবাসব”

  • এই কথাটি সন্তানকে বিশ্বাস করতে সাহায্য করে যে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আপনার ভালবাসা সবসময় তার সাথেই থাকবে।
  • এর ফলে তার আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়।
  • সন্তান নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে এবং ঝুঁকি নিতে ভয় পায় না।

এই তিনটি বাক্যের ফলাফল:

১. সুরক্ষার অনুভূতি:

সন্তান বুঝতে পারে যে সে সবসময় আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

২. ইতিবাচক আত্ম-চিত্র:

এই কথাগুলো সন্তানের মনে ইতিবাচক আত্ম-চিত্র তৈরি করে।

৩. মানসিক দৃঢ় সম্পর্ক:

এই শব্দগুলোর মাধ্যমে অভিভাবক এবং সন্তানের মধ্যে মানসিকভাবে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি হয়।

৪. আত্মবিশ্বাস:

সন্তানকে নিজের উপর এবং নিজের সিদ্ধান্তের উপর বিশ্বাস রাখতে শেখানো হয়।

৫. সম্পর্কের দক্ষতা:

সে অন্যদের সাথে স্বাস্থ্যকর এবং দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি করতে শেখে।