সংক্ষিপ্ত
কন্যারা মায়ের আদর্শে গড়ে ওঠে। তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে মায়েদের নিজের স্বাস্থ্য ও সুখের দিকে নজর দেওয়া জরুরি, শুধু সৌন্দর্য নয়। ইতিবাচক মনোভাবই কন্যার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
কন্যারা তাদের মায়ের দেখাদেখি শেখে। মায়ের কথা, আচরণ এবং চিন্তাভাবনা তাদের মানসিকতার উপর গভীর প্রভাব ফেলে। আপনি যদি বারবার নিজের সৌন্দর্য এবং ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন, তাহলে এর প্রভাব আপনার কন্যার উপরও পড়বে। তারাও নিজের সৌন্দর্য, রঙ এবং ওজন নিয়ে সংশয়ে ভুগতে পারে, যা তাদের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করবে। তাই তাদের শেখান, আসল সৌন্দর্য আত্মবিশ্বাস, স্বাস্থ্য এবং সুখে।
কন্যাকে কখনোই এই তিনটি কথা বলবেন না
- আমি জিমে যাচ্ছি যাতে আমার ওজন কমে এবং আমি সুন্দর দেখতে লাগি।
- আমি ডায়েট করছি যাতে আমি পাতলা এবং সুন্দর দেখতে লাগি।
- আমি মেকআপ করছি যাতে আমি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় দেখতে লাগি।
এভাবে বাড়ান কন্যার আত্মবিশ্বাস
১. ওজন ও সৌন্দর্য নয়, স্বাস্থ্যের উপর জোর দিন
- কন্যার সামনে বলুন, "আমি জিমে যাচ্ছি যাতে আমার শরীর শক্তিশালী এবং কর্মঠ হয়।"
- এতে সে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে অনুপ্রাণিত হবে, ওজন কমানোর চাপে থাকবে না।
২. ডায়েটিং-এর পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন:
- "আমি স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছি যাতে আমার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকে এবং আমি দীর্ঘদিন সুস্থ থাকি।"
- এতে সে সঠিক খাবারের গুরুত্ব বুঝতে পারবে, ওজন কমানোর চিন্তা করবে না।
৩. মেকআপকে আত্ম-সম্মান বৃদ্ধির উপায় হিসেবে দেখান:
- "আমি মেকআপ করি কারণ আমি নিজেকে সাজাতে পছন্দ করি।"
- এতে সে বুঝতে পারবে যে মেকআপ আত্ম-সম্মান বৃদ্ধির জন্য, অন্য কাউকে প্রভাবিত করার জন্য নয়।
৪. নিজের শরীর সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করবেন না:
- নিজের শরীরকে ভালবাসতে শেখান। কন্যাকে বলুন যে প্রতিটি শরীর আলাদা এবং বিশেষ।
- "আমি আমার স্বাস্থ্য এবং শরীর নিয়ে গর্বিত, কারণ এটি আমাকে প্রতিদিন সক্রিয় থাকতে সাহায্য করে।"
৫. ইতিবাচক বার্তা দিন:
- কন্যাকে শেখান যে আসল সৌন্দর্য আত্মবিশ্বাস, দয়া এবং সাহসিকতায়।
- "তুমি যেমন, তেমনই সুন্দর। নিজের ক্ষমতা চিনো।"