সংক্ষিপ্ত

বর্তমান ব্যস্ত জীবনে মা-বাবারা সন্তান লালন-পালনে অনেক সাধারণ ভুল করে বসেন, যেমন তুলনা করা, অতিরিক্ত আদর, সময় না দেওয়া, এবং ব্যস্ত সময়সূচী। এই ভুলগুলি সন্তানের বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

আধুনিক সময়ে শিশুদের লালন-পালনের ধরণ অনেক বদলে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটের আগমনে মানুষ তাদের লালন-পালনের ধরণে অনেক পরিবর্তন এনেছে। অনেক মা-বাবা আজকাল সন্তান লালন-পালনে অনেক বড় ভুল অজান্তেই করে ফেলেন। এই ভুলগুলি এড়াতে মা-বাবাদের সন্তানদের সাথে যোগাযোগ এবং বোঝাপড়া করে চলতে হবে। তাদের একটি নিরাপদ, ভালোবাসাপূর্ণ এবং স্থিতিশীল পরিবেশ দেওয়া প্রয়োজন, যাতে শিশুরা সুস্থ এবং ইতিবাচকভাবে বেড়ে উঠতে পারে। লালন-পালনের ভুলগুলি সম্পর্কে বলব, যা আপনাদের এড়িয়ে চলা উচিত।

১. সন্তানদের অন্যদের সাথে তুলনা করা:

সন্তানদের সবসময় অন্যদের সাথে তুলনা করা তাদের আত্মসম্মান এবং আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে। যদি একটি শিশু তার সঙ্গীদের সাথে তুলনা অনুভব করে, তবে সে নিজেকে নিকৃষ্ট মনে করতে পারে এবং তার ক্ষমতার উপর আস্থা হারাতে পারে। শিশুদের তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য এবং ক্ষমতার উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে উৎসাহিত করা উচিত, অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য নয়।

২. সন্তানদের সবকিছুতে ছাড় দেওয়া:

যদি সন্তানদের সবকিছুতে ছাড় দেওয়া হয়, তবে তারা শৃঙ্খলা এবং দায়িত্বের গুরুত্ব বোঝে না।

এটি শিশুদের কেবল অলসই করে তোলে না, তাদের নৈতিক এবং মানসিক বিকাশও ব্যাহত করে।

শিশুদের সীমা এবং নিয়ম শেখানোর মাধ্যমে তারা দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে।

৩. মা-বাবার ব্যস্ততা – কেরিয়ার বা সোশ্যাল মিডিয়ায়:

যদি মা-বাবারা তাদের কেরিয়ার বা সোশ্যাল মিডিয়ায় এত ব্যস্ত থাকেন যে তারা সন্তানদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না, তবে সন্তানরা একাকীত্ব এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারে। সন্তানদের মনোযোগ এবং ভালোবাসা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মানসিক বিকাশ ঘটে। সন্তানদের আস্থা এবং সমর্থন দেওয়া তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৪. অসঙ্গত শৃঙ্খলা:

যখন মা-বাবারা কোনও আচরণের জন্য সন্তানদের নিষেধ করেন, কিন্তু পরে সেই একই জিনিস গ্রহণ করেন, তখন সন্তানরা শৃঙ্খলার কোনও স্পষ্ট ধারণা পায় না। এটি তাদের শেখায় যে নিয়মের কোনও স্থায়িত্ব নেই এবং তারা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী আচরণ করতে পারে।

আরও পড়ুন: সন্তান যদি জেদ করে এবং আপনার কথা না শোনে, তাহলে বকাঝকা করার পরিবর্তে করুন এই কাজ

৫. সন্তানের ব্যস্ত সময়সূচী তৈরি করা:

  • সন্তানদের জন্য অতিরিক্ত ব্যস্ত সময়সূচী তৈরি করলে তারা মানসিক এবং শারীরিকভাবে ক্লান্ত বোধ করতে পারে।
  • এটি তাদের সৃজনশীলতা এবং বিশ্রামের প্রয়োজন পূরণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
  • সন্তানদের খেলাধুলা, বিশ্রাম এবং তাদের পছন্দের কাজের জন্যও সময় দেওয়া জরুরি, যাতে তারা সুস্থ এবং সুখী থাকে।