Parenting Tips: মাকে অফিস যেতে দেখলে বেশিরভাগ খুদে কান্নাকাটি করতে শুরু করে। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলে সেপারেশন অ্যাংজাইটি। সহজ কয়েকটি কৌশলে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জেনে নিন সেগুলি ঠিক কী কী।

Parenting Tips: শিশুদের মধ্যে বিচ্ছেদ উদ্বেগ দূর করার জন্য প্রত্যেক বাবা-মা কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। যেমন: কাজ শুরুর আগে শিশুকে সময় দেওয়া, একটি ইতিবাচক বিদায় জানানো, এবং শিশুর সাথে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রাখা। এছাড়াও, পেশাদার সাহায্য নেওয়াও একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।যেমন প্যারেন্ট-চাইল্ড ইন্টারঅ্যাকশন থেরাপি (PCIT), যা বাবা-মায়েদের শিশুর সাথে সম্পর্ক উন্নত করতে সাহায্য করে।

** বিচ্ছেদ উদ্বেগ কমানোর জন্য কিছু পন্থা:

* একটি রুটিন তৈরি করুন: একটি নির্দিষ্ট এবং নিয়মিত রুটিন তৈরি করলে শিশু নিরাপত্তা অনুভব করে। যখন তারা জানে যে কখন আপনি চলে যাবেন এবং কখন ফিরে আসবেন, তখন তাদের উদ্বেগ কমতে পারে।

* ইতিবাচক বিদায় জানান : যাওয়ার সময় একটি সহজ, ইতিবাচক এবং দ্রুত বিদায় জানান। অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হওয়া বা বারবার পিছন ফিরে তাকানো শিশুকে আরও অস্থির করে তুলতে পারে।

* শিশুর সাথে যোগাযোগ রাখুন: কাজের ফাঁকে শিশুকে ফোন করুন বা ভিডিও কল করুন। এতে তারা বুঝতে পারবে যে আপনি তাদের ভুলে যাননি এবং তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন।

* পেশাদার সাহায্য নিন: যদি শিশুর বিচ্ছেদ উদ্বেগ খুব বেশি হয় এবং এটি দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে, তবে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ বা থেরাপিস্টের সাহায্য নেওয়া উচিত। তারা সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে থেরাপির ব্যবস্থা করতে পারেন।

যেমন প্যারেন্ট-চাইল্ড ইন্টারঅ্যাকশন থেরাপি (PCIT)। PCIT-তে, বাবা-মাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যাতে তারা সন্তানের সাথে তাদের সম্পর্ক উন্নত করতে পারে এবং ইতিবাচকভাবে তাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

* অন্যদের সাথে সময় কাটাতে দিন: শিশুকে তার বাবা-মা ছাড়াও অন্য বিশ্বস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের সাথে সময় কাটাতে দিন, যেমন দাদা-দিদি, বা অন্যান্য আত্মীয়স্বজন। এতে শিশু অন্যদের উপর নির্ভর করতে শিখবে।

এছাড়া নিজের ওপর ধৈর্য ধরুন: মনে রাখবেন যে বিচ্ছেদ উদ্বেগ একটি স্বাভাবিক পর্যায় এবং সময়ের সাথে সাথে এটি কমে যায়। তাদের প্রতি ধৈর্য এবং ভালোবাসা দিয়ে তাদের এই সময়ে পাশে থাকুন।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।